এবার থাইল্যান্ডে ঝুঁকির মুখে উবার

অ্যাপভিত্তিক ট্যাক্সি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান উবার এবং গ্র্যাব-এর চালকদের থামাতে উদ্যোগ নিয়েছে থাইল্যান্ডের পরিবহন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার এক পরিবহন কর্মকর্তা জানায় তারা চায় দেশটির সেনা সরকার এসব চালকদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করুক, জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2017, 02:26 PM
Updated : 7 March 2017, 02:26 PM

বর্তমান সময়টা ভালো কাটছে না মার্কিন প্রতিষ্ঠান উবার-এর। অনেক দেশেই নানা ধরনের সমালোচনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এবার সে তালিকায় যোগ হয়েছে থাইল্যান্ড।

২০১৪ সালে দেশটিতে সেবা চালু করার পরই থাইল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অফ ল্যান্ড ট্রান্সপোর্ট জানায় উবার-এর চালকরা সঠিকভাবে নিবন্ধিত বা বীমা করা নয়, তারা ভাড়ার ব্যবস্থাও নিয়ম মানছেন না।

চালকদের থামাতে এর আগেও ছোটখাটো উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। ব্যাংককে চলতি সপ্তাহে ২৩জন উবার চালককে জরিমানা করা হয়েছে। যেখানে দেশটিতে সেবা চালু করার পর থেকে এ যাবৎ জরিমানা করা হয়েছে ৮৩জন চালককে।

শুধু উবারই নয় উবারের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান গ্র্যাব-এর চালকদেরকেও জরিমানা করা হয়েছে বলে জানায় রয়টার্স। যেসব চালককে ধরা হয়েছে ছয় মাসের জন্য তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয় এবং ৫৭ মার্কিন ডলার করে জরিমানা করা হয়।

দেশটির পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা সারগি কারুপম বলেন, “আমরা কঠিন থেকে কঠিনতর মানদণ্ড ব্যবহার করছি। এই সেবাগুলো চিন্তার বিষয়, কারণ সরকারের পক্ষে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর।”

উবার-এর থাই ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দেশটিতে রাইড শেয়ারিং সেবার সুবিধা কী তা স্পষ্ট করতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করা হবে। এই ওয়েবসাইটেই চালকরা নিবন্ধন করে থাকে বলে জানানো হয়।

“সবার জন্য নির্ভরযোগ্য পরিবহন ব্যবস্থা তৈরি করতে উবার অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে,” বলেন উবার-এর মুখপাত্র এমি কুনরোজপানায়া।

থাইল্যান্ডে বেশ জনপ্রিয় উবার এবং গ্র্যাব, কারণ অন্যান্য ট্যাক্সি সেবার চেয়ে এগুলো তুলনামূলক সস্তা। আর এ প্রতিষ্ঠানের চালকদের মধ্যে যাত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রবণতাও কম।