“সুইচ-কে আমরা আশ্চর্যজনক এক গেইমিং প্লাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি, আর তাই কোনো ওয়েব ব্রাউজারে এটি সমর্থনযোগ্য হবে না, অন্তত নতুন চালুর সময় অবশ্যই না,” নিনটেনডো-এর প্রধান নির্বাহী তাৎসুমি কিমিশিমা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
এতে কোনো ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ রাখা হয়নি বলে জানিয়েছে ভার্জ। তবে পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে কাউকে অনলাইনে পেতে নিনটেনডো তাদের আগে তৈরি করা উয়ি ইউ ব্রাউজার, এখনও গেইম খেলার মাঝে ব্যবহার করা যাবে। ২০০৬ সালে বাজারে আসা উয়ি নিনটেনডো’র এ যাবৎকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া হোম কনসোল হিসেবে জায়গা করে নিলেও ত্রুটিপূর্ণ নামকরণ ও ব্যবসায়িক নীতির কারণে এর ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত উত্তরসূরি উয়ি ইউ বাজারে তেমন একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি। আর তাই উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই কনসোলটির। তবে, উয়ি ইউ প্লেয়ারদের জন্য অনলাইন সার্ভিস এবং থার্ড পার্টি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সফটওয়্যার বাজারে ছাড়ার সুযোগ চালু থাকছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।
অন্য আরেক সাক্ষাৎকারে কিমিশিমা জানান, নিনটেনডোর নতুন স্মার্টফোন গেইম ‘ফায়ার এমব্লেম হিরোস’ মুক্তি পাওয়ার প্রথম দিনের অর্ধভাগের মধ্যেই ১০ লাখেরও বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে। এই গেইমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫০ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
চলতি বছরের মার্চে উন্মোচন করতে যাওয়া নতুন এই হাইব্রিড হোম কনসোল-এর দাম বেশি হতে পারে- এরই মধ্যে এমন গুঞ্জন উঠেছে।
জাপানভিত্তিক গবেষণা এবং বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ডাল্টন ক্যাপিটাল-এর জ্যেষ্ঠ তহবিল ব্যবস্থাপক ফুমিও মাতসুমতো জানান, “২৫ হাজার ইয়েনের মধ্যে মূল্য থাকলে তা ভালোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতো কিন্তু মূল্য অনেক বেশির দিকে আছে।”
“দামের ক্ষেত্রে হয়ত খানিকটা ছাড় দেওয়া যেত যেহেতু কনসোলটি ঘরে বসে এবং হাতে দুইভাবেই ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এতে এখনও যথেষ্ট সফটওয়্যার না থাকায় শুরুতেই এই মূল্য যথাযথ বিবেচনা করা যাচ্ছে না।”