টুইটার জানায়, ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ‘গ্যাগ অর্ডার’-এর সঙ্গে ওই গোপন আদেশগুলো দেওয়া হয়। কোনো আদেশ বা নির্দেশনা প্রকাশ্যে আলোচনা না করতে যে আদেশ দেওয়া হয় তাকে গ্যাগ অর্ডার বলা হয়। এই প্রথমবার ওই গোপন আদেশগুলো প্রকাশের সুযোগ পেয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সাম্প্রতিককালে গুগল আর ইয়াহুসহ বড় কিছু ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান এমন তথ্য প্রকাশ করে, টুইটারও এমনটা অনুসরণ করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এই আদেশগুলো জাতীয় নিরাপত্তা চিঠি বা এনএসএল নামে পরিচিত। এই আদেশগুলোতে ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগ রেকর্ড নামে পরিচিত নির্দিষ্ট ধরনের তথ্য পেতে বিশেষ অনুরোধ করা হয়। ওই তথ্যের মধ্যে ইমেইল, ব্রাউজিং রেকর্ডসহ অন্যান্য তথ্য থাকতে পারে।
২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে দেওয়া এক মেমোতে এনিয়ে সীমাবদ্ধতা দিয়ে দেওয়া হয়। এফবিআই নিয়মিত এই সীমাবদ্ধতা লঙ্ঘন করছে- প্রকাশিত এনএসএলগুলো প্রাইভেসিবিষয়ক আইনজীবীদের এমন ধারণা আরও দৃঢ় করেছে।
এ নিয়ে অনুরোধ করা হলেও এফবিআই-এর পক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। ২০১৪ সালে সংস্থাটির এক সাধারণ প্রতিবেদনে বিচার বিভাগের ওই মেমোর সঙ্গে অসম্মতি প্রকাশ করা হয়।
এনএসএলগুলোর কথা প্রকাশের বিবৃতিতে টুইটার জানায়, এফবিআই-এর অনুরোধ মতো সব তথ্য তারা হস্তান্তর করেনি।
মাইক্রোব্লগিং সাইটটির সহযোগী মহাপরামর্শক এলিজাবেথ ব্যাংকার বলেন, “মূল এনএসএলগুলোতে প্রচুর পরিমাণ ডেটা চেয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। ইউ.এস. ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস -এর ব্যাখ্যামূলক নির্দেশিকা ও ফেডারেল আইন মেনে এনএসএল-এর জবাবে টুইটার খুবই কম পরিমাণ ডেটা সরবরাহ করেছে।
দুই এনএসএল-এই এফবিআই যে অ্যাকাউন্টগুলোর তথ্য চায় সেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো নিয়ে আরও প্রকাশ্যে আলোচনা করতে সরকারের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে টুইটার।