যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজ-এর এক গবেষণায় সংবাদ বিকৃতকরণ দূর করতে মনস্তাত্ত্বিক টুল উদ্ভাবন করা হয়েছে।
গবেষকরা রলছেন, পাঠকের কাছে পরিকল্পনামাফিক খানিকটা ভুল খবর ধরিয়ে দিলে পাঠক ওই ধরনের খবর সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠেন।
২০১৬ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং সিরিয়াবিষয়ক ভুয়া সংবাদগুলো এমন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক ড. স্যান্ডার ফন ডার লিন্ডেন বলেন, “ভুল সংবাদ ভাইরাসের মতো ছড়ায়।” তিনি আরও বলেন, “পরিকল্পনাটি ছিল স্ববুদ্ধিমত্তা তৈরি করা যেন তা ভুল সংবাদের বাধা হিসেবে কাজ করতে পারে।” এর ফলে পরবর্তীবার যখন কেউ অল্প পরিমাণেও সন্দেহ দেখবে ওই সংবাদ কাটিয়ে আসতে পারবে বলে জানান তিনি।
গবেষণাটি গ্লোবাল চ্যালেঞ্জেস সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয়। দুই হাজারের বেশি মার্কিন অধিবাসীর সামনে এই গবেষণায় বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে দুটি দাবি উপস্থাপন করা হয়। গবেষকরা জানিয়েছেন, পরপর প্রতিস্থাপনের পর সু-প্রতিষ্ঠিত সত্য খবরগুলোর প্রভাব মানুষকে ভুয়া দাবিগুলো বাতিল করতে সহায়তা করে। কিন্তু যখন তথ্যের মধ্যে ভুল তথ্য মিশিয়ে দেওয়া হয় আর এটি একটি সতর্কতার মতো দেওয়া হয় তখন ভুয়া সংবাদ রোধের ক্ষমতা কমে যায়।