মামলার এক আবেদনকারী অভিযোগ করেন, দিল্লি বিমানবন্দরের কাছে আবাসিক এলাকার উপর প্লেন থেকে বর্জ্য ফেলা হয়েছে।
প্লেনে মনুষ্য বর্জ্য ট্যাংকে সংরক্ষণ করা হয়। প্লেন মাটিতে অবতরণের পর এইসব বর্জ্য উপযুক্ত স্থানে ফেলা হয়। কিন্তু ওই এয়ারলাইন অভিযোগ স্বীকার করে জানিয়েছে, ট্যাঙ্ক ফুটো হয়ে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
আদালত এভিয়েশন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে বলেছে যে কোনো রকম বর্জ্য যেন প্লেন অবতরণের আগে বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকায় মুক্ত করা না হয়।
পরিবেশবিষয়ক আদালত ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল বলেছে, “যদি কোনো এয়ারলাইন এই আইন লঙ্ঘন করে বা অবতরণের সময় তার ট্যাংক খালি পাওয়া যায় তাহলে প্রতিবার এমন ঘটনার জন্য পরিবেশ দূষণের দায়ে ৫০,০০০ রুপি জরিমানা দিতে হবে।”
একজন জ্যেষ্ঠ পাইলট বিবিসিকে বলেন, ট্যাংক খালি করার মতো “জরুরি অবস্থাও” তখন ছিল না যে তা মাঝ রাস্তায় উন্মুক্ত করতে হবে।
ওভারফ্লো বা জরুরি মুহূর্তে ট্যাংক খালি করার জন্য মাঝে মাঝে হিমায়িত বর্জ্য আকাশে মুক্ত করা হয়। পরে তা পৃথিবীতে এসে পড়ে। এটি ‘নীল বরফ’ নামে পরিচিত। গন্ধ কমাতে এবং বর্জ্য ভাঙ্গতে এর সঙ্গে রাসায়নিক পদার্থ যোগ করা হয়। প্লেনের জন্য এটি খুব পরিচিত ব্যাপার।