যুক্তরাজ্যের ফোর-জি বিশ্বে ৫৪-তম অবস্থানে রয়েছে এবং এটির উন্নতিও করা প্রয়োজন। প্রশ্ন হল ফোর-জি দিয়ে কি বোঝানো হয়?
Published : 17 Dec 2016, 06:42 PM
ইউরোপিয়ান কমিশনের মতে ফোর-জি গতিসম্পন্ন একটি ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে এক ঘন্টার মধ্যে একটি মুভি ডাউনলোড সম্ভব কিন্তু এই বিষয়ে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো নীতিমালা নেই বলে জানা যায় বিবিসি এর তথ্য থেকে।
ওয়ান-জি বা প্রথম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্রথম চালু হয় ১৯৯১ সালে। একই সালেই চালু হয় টু-জি বা দ্বিতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্কও। টু-জি নেটওয়ার্ককে ওয়ান-জি নেটওয়ার্কের ডিজিটাল-ব্রাদার বলা হয়।
ওয়ান-জি নেটওয়ার্ক দিয়ে শুধু কল করা সম্ভব ছিল। এটি ছিল অ্যানালগ এবং ফোনগুলো দেখতেও অনেক পুরাতন।
এরপর টু-জি নেটওয়ার্কে টেক্সট-মেসেজ অপশন চালু করা হয়। টেক্সট-মেসেজ অপশনটি এসএমএস নামে পরিচিতি পায় যার সাহায্যে বন্ধুদের মধ্যে টেক্সট-মেসেজ চালাচালি করা যেত। টু-জি নেটওয়ার্কে পিকচার-মেসেজ বা এমএমএস (মাল্টিমিডিয়া মেসেজিং সিস্টেম) আদান-প্রদানের অপশনও চালু করা হয়।
২০০১ সালের দিকে থ্রিজি এবং স্মার্টফোনের সুবাদে “ভিডিও কলিং” বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। থ্রি-জি প্রযুক্তি দিয়ে প্রথমদিকে ২ মেগাবিট/সেকেন্ড গতিতে ডেটা ট্রান্সফার করা সম্ভব ছিল। গতির বিবেচনায় এটি উল্লেখযোগ্য না হলেও ভিডিও কলিং এবং ওয়্যারলেস সুবিধার জন্য থ্রি-জি একটি বড় পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হয়। এর গতির বর্ণনা করতে ড্যাভিড ব্রেন্ট বলেন “চলতি অবস্থায় আইটিউনস দিয়ে ৪.২৬ গিগাবাইট ডাউনলোড করতে সময় লাগত ৫ ঘন্টার মত”
২০১০ সালের দিকে ফোর-জি চালু হয়। ফোর-জি’র আরও দ্রুত গতিতে অনলাইন গেইমিং জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
একটি মুভি ডাউনলোড করতে থ্রি-জি প্রযুক্তিতে যেখানে সময় লাগতো ৫ ঘন্টার মত সেখানে ফোর-জি প্রজুক্তিতে প্রয়োজন পরে ৮ মিনিটের মত সময়।
কিন্তু ফোর-জি এখনও সব জায়গায় চালু করা হয়নি। থ্রি-জি, ফোর-জি দূরে থাক যুক্তরাজ্যের কিছু জায়গায় এখনও টু-জি চালু হয়নি। আর বাংলাদেশে এখন চলছে থ্রিজি প্রযুক্তি।