শেষ হচ্ছে বিএমডাব্লিউ-বাইদু চুক্তি

জার্মান গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বিএমডাব্লিউ ও চীনা ইন্টারনেট জায়ান্ট বাইদু’র স্বচালিত গাড়ি সংক্রান্ত যৌথ গবেষণাটি খুব শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে, শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানদুইটির কর্মকর্তারা।

রিফাত আহসানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2016, 12:41 PM
Updated : 19 Nov 2016, 12:41 PM

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন- উভয় দেশেই সমন্বিতভাবে পরীক্ষা চালানোর পর প্রতিষ্ঠান দুইটি তাদের মধ্যকার সহযোগিতা চুক্তি থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর কারণ হচ্ছে গবেষণা পরবর্তী পদক্ষেপ কেমন হবে তা নিয়ে উভয়ই ভিন্ন মত পোষণ করে-- গুয়াংজু অটো শো-তে রয়টার্সকে এমনটা জানিয়েছেন চীনে বিএমডাব্লিউ -এর প্রধান নির্বাহী ওলাফ কাস্টনার।

“ইদানিং আমরা দেখছি দুইটি প্রতিষ্ঠানেরই উন্নয়নের ধারা এবং চিন্তাভাবনা করার পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন”- বলেন কাস্টনার, যদিও ঠিক কী কারনে তাদের এই মতানৈক্য তা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি তিনি।

জার্মান গাড়ি প্রস্তুতকারক চীনে তাদের স্বচালিত গাড়ি সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়ন দল আরও সম্প্রসারিত করতে চায় বলে জানিয়েছেন কাস্টনার। এ ছাড়া, প্রতিষ্ঠানদুইটির স্বচালিত গাড়ির দিকনির্দেশনার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ হাই-ডেফিনেশন মানচিত্রে অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

বাইদু ২০১৮ সালের মধ্যে স্বল্প পরিসরে এবং ২০২১ সালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে বাণিজ্যিকভাবে স্বচালিত গাড়ি বাজারজাত করতে চায়।  বিএমডাব্লিউ ও ২০২১ সালের মধ্যে একই লক্ষ্য মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে।

১৯ নভেম্বর চীন স্বচালিত গাড়ির উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে, যেখানে ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এই ধরনের গাড়ি বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে পারবে। সব ধরনের গাড়ির মধ্যেই স্বচালিত প্রযুক্তি থাকবে ২০৩০ সালের মধ্যে।

বাইদু’র স্বচালিত গাড়ি উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ওয়াং জিং জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষা চালানোর জন্য মার্কিন গাড়ি প্রস্তুতকারক ফোর্ডের গাড়ি ব্যবহার করছে। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। “যে কোনো অংশীদারের জন্য আমাদের দরজা খোলা আছে, আসলে ইতোমধ্যে আমি অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছি”- বলেন তিনি।

ভবিষ্যতের গাড়ি হবে সম্পূর্ণরূপে স্বচালিত, এমনটাই ভাবছেন প্রযুক্তি এবং পরিবহন বিশ্লেষকরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বচালিত পরিবহন শিল্পের উন্নয়নস্বরূপ গুগল ও ডেলফি’র মতো অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান এই পরিবহন শিল্প বিপ্লবে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে।