মামলায় মায়ারের বিরুদ্ধে চাকরি থেকে 'উপযুক্ত কারণ ছাড়াই' কর্মী ছাঁটাই এবং অবৈধভাবে কাজে লোক নিয়োগের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএএনএস।
ইয়াহুর সাবেক জ্যেষ্ঠ সম্পাদকীয় পরিচালক স্কট আর্ড ক্যালিফোর্নিয়ার নর্দার্ন ডিসট্রিক্ট কোর্ট-এ মঙ্গলবার এই মামলা দায়ের করেন। এতে তিনি দাবি করেন, এ সব কাজের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি মার্কিন নাগরিক অধিকার আর কর্মসংস্থানের বিধি লঙ্ঘন করেছে।
ইয়াহু'র একজন মুখপাত্র ক্যারোলিন ক্লার্ক এক বিবৃতিতে এই মামলার কোনো যোগ্যতা নেই বলে মত দিয়েছেন। সেইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়াকে 'নিরপেক্ষ' বলেও দাবি করেছেন তিনি।
পুরুষদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের ঘটনায় মায়ার'-এর নামে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অভিযোগ আনা হল।
আর্ড ২০১১ সালে ইয়াহুতে কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, মায়ার কোয়ার্টালি পারফর্মেন্স রিভিউ (কিউআরপি) সিস্টেম চালু করার আগে প্রতিষ্ঠানের রিভিউ আর স্টক অ্যাওয়ার্ড বেশ ইতিবাচক ছিল। মায়ারের চালু করা নতুন এই ব্যবস্থা তাকে অসন্তোষজনক অবস্থায় প্রতিষ্ঠান ছাড়তে বাধ্য করে।
"ইয়াহু'র কিউআরপি ব্যবস্থা কোনো রকম স্বচ্ছতা আর যাচাই ছাড়াই কর্মী ছাঁটাইয়ের অনুমোদন করে, যা মূলত বৈষম্য আর অরাজকতা সৃষ্টির জন্য দায়ী", মামলায় বলা হয়।
এটি ১৯৬৪ সাল থেকে প্রবর্তিত মার্কিন নাগরিক অধিকার এবং 'ওয়ার্কার অ্যাডজাস্টমেন্ট অ্যান্ড রিট্রেনিং নোটিফিকেশন' আইনের লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। আর্ড মামলায় করা অভিযোগে জানান, ২০১২ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৩০ দিনেরও কম সময়ের নোটিশে এই ব্যবস্থায় ৫০ জনেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। চলতি বছর মার্চে ইয়াহু'তে কর্র্মীসংখ্যা ছিল প্রায় ৯৪ হাজার।
মামলায় ইয়াহুর সাবেক প্রধান বিপনণ কর্মকর্তা ক্যাথি স্যাভিট সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, "মায়ার ইচ্ছাকৃতভাবে নারীদের বেশি নিয়োগ করতেন এবং দ্রুত পদোন্নতিতেও সহায়তা করতেন, শুধু তারা 'নারী' বলেই।" এ প্রসঙ্গে উদাহরণ টেনে জানান, মায়ার-এর নিয়োগকৃত উচ্চপদস্থ সম্পাদকীয় কর্মকর্তাদের ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জনই ছিলেন নারী।
এর আগেও ফেব্রুয়ারীতে ইয়াহুর সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক গ্রেগরি এন্ডারসন ইয়াহুতে নিয়োগ পর্যালোচনায় লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।