পেইন্ট মাইক্রোসফট উইন্ডোজ-এর একটি সাধারণ গ্রাফিক্স অ্যাপ। অ্যাপটির মাধ্যমে খুব সহজে ছবি টুকটাক পরিবর্তন করাসহ অন্যান্য গ্রাফিক্সের কাজ করা যায়।
১৯৮৫ সালের নভেম্বরে সর্বপ্রথম উইন্ডোজ ১.০ সংস্করণের সঙ্গে এটি উন্মোচন করা হয়। এরপর থেকে এটিতে খুব বেশি পরিবর্তন আনা হয়নি। অ্যাপটি মূলত উইন্ডোজ বিটম্যাপ, জেপেগ, জিফ, পিএনজিসহ অন্যান্য ফরম্যাটে ফাইল খোলা ও সংরক্ষণের কাজ করতে পারে। রঙিন এবং সাদাকালো দুই ফরম্যাটেই ব্যবহার করা যায় এটি। সহজ ব্যবহারবিধির জন্য খুব দ্রুত ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল অ্যাপটি।
উইন্ডোজ ১.০-এর পর এবার উইন্ডোজ ১০-এ অ্যাপটির নতুন সংস্করণে বড় পরিবর্তন আনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, জানিয়েছে ব্যবসা বাণিজ্য বিষয়ক প্রকাশনা বিজনেস ইনসাইডার।
সম্প্রতি পেইন্টের নতুন সংস্করণের বিভিন্ন ফিচার নিয়ে আলোচনা করে একটি ভিডিও আপলোড করেন মার্কিন টুইটার ব্যাবহারকারী ওয়াকিংক্যাট। তথ্যমতে নতুন এই সংস্করণে প্রচুর পরিবর্তন আনা হচ্ছে যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তির সংযোজন।
উন্মোচনের অপেক্ষায় থাকা এই সংস্করণে অ্যাপটির যে অংশগুলো ব্যবহারকারীরা পছন্দ করেন এবং ভালবাসেন তা আগের মতই রাখা হয়েছে। কিছু জিনিস সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে এবং নতুন সব ফিচার যুক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এবার থেকে উইন্ডোজ পেইন্টে ত্রিমাত্রিক ছবিও ডিজাইন করা যাবে, যা থেকে ব্যবহারকারীরা নতুন কিছু শিখতে এবং তাদের ধারণা শেয়ার করতে ও নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারবেন। ত্রিমাত্রিক জগতে প্রবেশ এবং যেকোনো কিছু তৈরি করা যাবে খুব সহজ কিছু অপশনের মাধ্যমে। এ ছাড়াও এটিতে আছে সহজবোধ্য ইন্টারফেইস যা দিয়ে ত্রিমাত্রিক মডেল, দ্বিমাত্রিক ছবি, স্টিকার এবং বিভিন্ন ত্রিমাত্রিক কন্টেন্ট খুব সহজেই একত্র করে প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করা যাবে।
স্বনামধন্য স্ক্রিন পেইন্টার পল কারসেল এর মতে, যেহেতু মাইক্রোসফট আমাদেরকে হলোগ্রাম প্রজেকশন এবং ভার্চুয়াল রিয়ালিটির দিকে ঠেলে দিয়েছে অনেক আগেই, তাই পেইন্ট অ্যাপ এর ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তির উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানটির জন্য খুবই স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া।
২৬ অক্টোবর মাইক্রোসফট ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে নতুন পেইন্ট এর ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি মাইক্রোসফট।