কর ব্যবস্থার উপর ইইউ কমিশন-এর তদন্ত প্রধানত ইউরোপিয়ান প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছে বলে জানান জাঙ্কার।
অন্যদিকে, আলাদা এক বিবৃতিতে ওইসিডিসেন্টার ফর ট্যাক্স পলিসি অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর চেয়ারম্যান পাসকাল সেইন্ট-আমানস ও জাঙ্কার-এর সঙ্গে সুর মেলান। তিনি অ্যাপলের কর পরিকল্পনা-কে ‘জঘন্য’ আখ্যা দিয়ে এই রায় বর্তমান নীতিমালা প্রয়োগ করেই হয়েছে বলে মত দেন।
মার্কিন আইনপ্রণেতারা অফশোর আয়ের ব্যবস্থা নিয়ে কয়েক বছর ধরেই বাক-বিতণ্ডা চালাচ্ছেন। জাঙ্কার-এর এমন মন্তব্য মার্কিন আইনপ্রণেতার নিশ্চয়তা প্রদানেই দেওয়া বলে ধারণা রয়টার্স-এর। এখন ইউরোপিয়ান কমিশনের এমন পদক্ষেপে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর লাভের আরও অংশ ইউরোপিয়ান কর ভাণ্ডারে যাওয়ার আশঙ্কা জন্ম নিল।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ভাণ্ডারে থাকা রাজস্ব হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এমন রায় দিয়েছে বলেছে অভিযোগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এটি যুক্তরাষ্ট্র-কে উদ্দেশ্য করেই করা, এমন অভিযোগ মানতে নারাজ জাঙ্কার। তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়।”
এর আগে অ্যাপল-কে এই অর্থ পরিশোধের আদেশ দিতে ইউরোপিয়ান কমিশন অধিকার রাখে বলে বুধবার মত দেন ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী মিশেল সাপিন।
অক্টোবরের শেষ মঙ্গলবার কর মামলায় মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলকে ১৩০০ কোটি ইউরো পরিশোধের আদেশ দেয় ইউরোপিয়ান কমিশন। এরই প্রেক্ষিতে অ্যাপলের ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠান প্রধান টিম কুক-এর একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে ইউরোপিয়ান কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন ‘ভুল’ সেটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছে অ্যাপল। কুক যে বিষয়টি স্পষ্ট করতে চেয়েছেন সেটি হল- ইউরোপিয়ান কমিশন ইউরোপের আইন আয়ারল্যান্ডের ওপর ‘চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’
আরও যে বিষয়টি কুক বলার চেষ্টা করেছেন সেটি হল, অ্যাপল কর দেয় এবং আয়ারল্যান্ড কৃর্তৃপক্ষ কর নেয়। এর মধ্যে কোনো পক্ষই এ নিয়ে কোনো অভিযোগ না করলেও ইউরোপিয়ান কমিশন অনেকটা জবরদস্তিমূলকভাবেই নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে যা কর ইতিহাসে ‘নজিরবিহীন’।
আইরিশ অর্থমন্ত্রী মাইকেল নুনান মঙ্গলবার কমিশন-এর আদেশ-এর বিরুদ্ধে 'গভীরভাবে অসম্মতি' প্রকাশ করেন। তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে মন্ত্রীসভার অনুমোদন চেয়েছেন।