প্রাইভেসি না নিরাপত্তা? 'দরকার' আলোচনা

এনক্রিপশনের কারণে বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসে অ্যাকসেস করতে অসমর্থ হওয়ার বিষয়ে সতর্ক হয়েছেন এফবিআই প্রধান জেমস কমে। এ বিষয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে 'দায়িত্বশীল কথোপকথন' চালাতে তদন্তকারীদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2016, 10:56 AM
Updated : 1 Sept 2016, 10:56 AM

সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক এক সভায় কমে বলেন, "স্মার্টফোনে ব্যবহৃত বিস্তৃত এনক্রিপশন আমাদের তদন্তের জায়গা আরও আরও বেশি অন্ধকার করছে।"

চলতি বছর ক্যালিফোর্নিয়া স্যান বার্নার্ডিনো হত্যাকাণ্ডের এক হত্যাকারীর ব্যবহৃত আইফোনের অ্যাকসেস নিতে জোরপূর্বক অ্যাপলের সহায়তা নিতে আদালতের অনুমতি নেয় মার্কিন এই গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু অ্যাপল এফবিআই-এর এমন দাবিপূরণে নিজদেরে পণ্যের নিরাপত্তা দূর্বল হয়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করে। এ নিয়ে নানা নাটকের পর শেষ পর্যন্ত এফবিআই তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ওই আইফোনে অ্যাকসেস নেয়। এর মাধ্যমে আদালত ওই মামলা শেষ করে দিলেও এর ভিতরে থাকা নানা আইনি প্রশ্নের আর সুরাহা হয়নি।

এ নিয়ে আলোচনা চালাতে কমে আশা প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান।

মার্কিন প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার নিরাপত্তা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিমেনটেক আয়োজিত ওই সভায় কমে বলেন, "আমরা যা করতে চাই তা হচ্ছে এ বছর তথ্য সংগ্রহ করতে চাই, যাতে পরের বছর আমরা এদেশে একটি দায়িত্বশীল আলোচনা করতে পারি।"

কমে জানান, এই আমেরিকান জনগণের বাসাবাড়ি, গাড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ ব্যাক্তিগত জায়গাগুলোয় গোপনিয়তা পাওয়ার যুক্তিসঙ্গত প্রত্যাশা রয়েছে। কিন্তু যখন আইনশৃংখলা প্রণয়নকারী সংস্থা ধারণা করবে ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনের মতো কোনো ডিভাইসে কোনো অপরাধের প্রমাণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তখন এই অধিকার পুরোদস্তুর নয় বলে মত কমে'র।

কমে বলেন, "ভালো কারণের সঙ্গে বিচারক আর আইনশৃংখলা প্রণয়নকারীদের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ আমাদের ব্যাক্তিগত ক্ষেত্রে হানা দিতে পারে।" কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ কীভাবে তাদের জীবন কাটাবে বা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করবে তা ঠিক করে দেওয়া এফবিআই বা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ নয় বলেও জানান তিনি।

শেষ দুই বছর ধরেই কমে ইলেকট্রনিক প্রাইভেসি আর জাতীয় নিরাপত্তার মধ্যে বাড়তে থাকা সংঘর্ষ নিয়ে এই যুক্তিগুলো বারবার বলে যাচ্ছেন।

২০১৫ সালে এনক্রিপশন নিয়ে চলে 'এই উভয়সংকট' নিয়ে কোনো সাংবিধানিক সমাধান না আনার সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন বিচার বিভাগ।