টিকটকের জনপ্রিয় ফিচার এবার ইউটিউব শর্টসে

বেশ কয়েকটি নতুন ফিচার এসেছে ইউটিউব শর্টসে, যেগুলো এরইমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্ম টিকটকে ব্যবহার হচ্ছে এবং জনপ্রিয়।

বুধবার থেকে ‘ন্যারেশন ভয়েসওভার’ নামে এমনই একটি ফিচার চালু করছে গুগল মালিকানাধীন ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি।

‘ন্যারেশন’ ব্যবহার করে আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিওতে ধারাভাষ্য যোগ করেন কনটেন্ট নির্মাতারা। এমন কনটেন্টের উদাহরণ হিসেবে বলা যায় রান্নার টিউটোরিয়ালে নির্দেশনা দেওয়া, বিভিন্ন হাস্যরসাত্মক ভিডিওতে ‘লাইভ রিয়েকশন’ অথবা ‘দৈনন্দিন জীবন’ বা ‘সকালের রুটিন’-ধাঁচের ভিডিও।

একটি ভিডিও রেকর্ড করার পর শর্টস-এ ভয়েসওভার যোগ করতে ক্যামেরা স্ক্রিনের নীচের ডানপাশে থাকা ‘চেকমার্কে’ চাপ দিতে হবে। এর পর, ‘ভয়েসওভার’ বাটনে চাপ দিয়ে ব্যবহারকারী কোথা থেকে ভয়েসওভার শুরু করতে চান, সেটি ঠিক করে চাপ দিতে হবে ‘রেকর্ড’ বাটনে। পরবর্তীতে, ভলিউমও ঠিক করে নিতে পারবেন তিনি।

এ ছাড়া, সহজে এডিট করতে এই রেকর্ডিং ‘আনডু’ এবং ‘রিডু’ও করতে পারবেন ব্যবহারকারী।

সম্প্রতি টিকটক থেকে নেওয়া আরেকটি আইওএস ফিচার যোগ করেছে ইউটিউব শর্টস। সেটি হলো, একটি নতুন ভিডিও’র মাধ্যমে কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার সুবিধা। ২০২০ সালেই ফিচারটি এনেছিল টিকটক। আর ইনস্টাগ্রাম ফিচারটির নিজস্ব সংস্করণ এনেছে গেল ডিসেম্বর মাসে।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউটিউবের তরফ থেকে আসা সবচেয়ে বড় খবর হলো শর্টস-এ ‘পার্টনার প্রোগ্রামের’ বিস্তৃতি, যা ইউটিউব মনিটাইজেশনের সবচেয়ে সাধারণ উপায়।

ফলে, প্রথমবারের মতো স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও নির্মাতারাও বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারবেন। সব পরিকল্পনা অনুযায়ী গেলে, নির্মাতাদের বিজ্ঞাপনী আয়ের অংশ দেওয়া স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও খাতে টিকটকের আধিপত্যের কাছাকাছি যাওয়ার ক্ষেত্রে ইউটিউবের জন্য সেরা সুযোগ হতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে টেকক্রাঞ্চ।