প্রস্তাবিত ইইউ আইনের ধাক্কা লাগবে সরবরাহ চেইনে: সিমেন্স, এরিকসন

“আমাদের ইউরোপীয় অখণ্ড বাজার ও প্রতিযোগিতায় ব্যাঘাত ঘটালে কোম্পানির সরবরাহ চেইন কোভিড লকডাউনের মতো পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে।”

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2023, 12:23 PM
Updated : 7 Nov 2023, 12:23 PM

ইইউ’র প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা নীতিমালা বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইসের সরবরাহ চেইনে সমস্যা তৈরি করতে পারে, ঠিক যেমনটি ঘটেছিল মহামারীর সময় --এমন সতর্কবার্তা দিয়েছে স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি সিমেন্স ও এরিকসন।

সুইডিশ ও জার্মান দুই ইলেকট্রনিক জায়ান্টের পাশাপাশি সোমবার এ সতর্কবার্তা দিয়েছে ফরাসি কোম্পানি স্নাইডার ইলেকট্রিক ও ইউরোপীয় সংস্থা ডিজিটালইউরোপও।

গত বছর ‘সাইবার রেজিলিয়েন্স অ্যাক্ট’ নামে নতুন আইনের প্রস্তাব দিয়েছিল ইউরোপীয় কমিশন, যেখানে বিভিন্ন উৎপাদক কোম্পানির পণ্যে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলো খতিয়ে দেখার পাশাপাশি পাঁচ বছরের মধ্যে বা ওই পণ্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার শর্ত রয়েছে।

এ ছাড়া, ইন্টারনেট সংযোগ থাকা ডিভাইসের আমদানিকারক ও সরবরাহকের ওপরও এইসব নিয়ম বর্তাবে। সম্প্রতি হ্যাকাররা বেশ কয়েকটি হাই প্রোফাইল সাইবার আক্রমণ চালিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির ব্যবসায় ক্ষতি করার পাশাপাশি বড় মুক্তিপণও দাবি করেছে, যার ফলে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বেড়েছে।

“এ আইনটি যে অবস্থায় আছে তাতে ইউরোপের অখণ্ড বাজারে সরবরাহ চেইন সংকুচিত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।” --ইউরোপীয় ইউনিয়নের শিল্প বিভাগের প্রধান টিয়েরি ব্রেটন ও ডিজিটাল বিভাগের প্রধান ভেরা জউরোভাকে লেখা চিঠিতে যৌথভাবে উল্লেখ করেছেন বিভিন্ন কোম্পানির নির্বাহীরা।

তারা আরও বলেন, এমন আইন চালু হলে তার প্রভাব গিয়ে পড়বে সরবরাহ চেইনে থাকা লাখ লাখ পণ্যের ওপর। এর মধ্যে রয়েছে ওয়াশিং মেশিন থেকে শুরু করে খেলনা, সাইবার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট পণ্যের পাশাপাশি হিট পাম্প, কুলিং মেশিন ও এমন উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোও।

কোম্পানিগুলো বলেছে, এমন পরিস্থিতি পর্যালোচনার ক্ষেত্রে স্বাধীন  বিশেষজ্ঞের ঘাটতিও পণ্য উৎপাদনে বিলম্ব ঘটাতে পারে।

“আমাদের ইউরোপীয় অখণ্ড বাজার ও প্রতিযোগিতায় ব্যাঘাত ঘটালে কোম্পানির সরবরাহ চেইন কোভিড লকডাউনের মতো পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে।” --বলেছে কোম্পানিগুলো।

এদিকে, স্মার্টফোন নির্মাতা নকিয়া, প্রকৌশল কোম্পানি রবার্ট বশ জিএমবিএইচ ও সফটওয়্যার কোম্পানি এসেটের সিইও’রাও এ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।

কোম্পানিগুলো বলেছে, উচ্চমাত্রার ঝুঁকিওয়ালা পণ্যের তালিকা করে উৎপাদন বন্ধ করা উচিৎ। আর প্রাথমিকভাবে এগুলো পর্যালোচনা করার আগে বিভিন্ন ত্রুটি ঠিক করা উচিৎ উৎপাদকদের।

এর পাশাপাশি, সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনার ব্যবস্থা শিথিল করারও আহ্বান জানিয়েছে কোম্পানিগুলো।

৮ নভেম্বর এই সম্ভাব্য আইনের খসড়া নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে ইইউ সদস্যভুক্ত দেশগুলো ও সংস্থাটির আইনপ্রণেতাদের মধ্যে। আর এর আগ মূহুর্তেই এই চিঠি এল।