ইউরোপের ১৬ হাজার নাগরিক ও ১৪ হাজার ব্যবসায় ৩৮ শতাংশ কোম্পানিই এআই প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে।
Published : 02 Feb 2024, 01:11 PM
২০২৩ সালে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার পর এক তৃতীয়াংশের বেশি ইউরোপীয় ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি।
খবরটি প্রকাশ পেয়েছে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস-এর এক প্রতিবেদনে।
২০২১ সালে ‘ডিজিটাল ডেকেড’ নামের পরিকল্পনায় ইউরোপকে পুরোপুরি বদলে ফেলার লক্ষ্য হাতে নিয়েছিল ইউরোপীয় কমিশন ও ইইউ, যেখানে অঞ্চলটির ৮০ শতাংশ জনগণকে প্রাথমিক ডিজিটাল দক্ষতা শেখানো, সব জায়গায় ৫জি সংযোগ দেওয়া এমনকি ইউরোপের ৭৫ শতাংশ কোম্পানিতে ক্লাউড পরিষেবা ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়।
তবে ২০২২ সালে ইউরোপের কেবল এক চতুর্থাংশ ব্যবসায় এআই প্রযুক্তি এসেছে। তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ ডিজিটাল ডেকেডের লক্ষ্যমাত্রা পিছিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে, যদি না বিভিন্ন দেশের সরকার দক্ষতা বিষয়ক ঘাটতি পূরণে মনযোগ দেয় - এমন সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে গত বছর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।
“গত বছর আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, হোক সেটা ইতালির মিলান, কিংবা সুইডেনের মালমো। বিভিন্ন দেশের গ্রাহক ও ব্যবসার মধ্যে নতুন ক্ষুধা সৃষ্টি করেছে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি,” রয়টার্সকে বলেন এডব্লিউএস-এর মহাপরিচালক তানুজা রান্ডেরি।
“গত বছর ইউরোপকে ডিজিটাল ডেকেড লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ক্ষেত্রে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছে এআইয়ের ক্রমবর্ধমান চাহিদা।”
ইউরোপের ১৬ হাজার নাগরিক ও ১৪ হাজার ব্যবসায় বিনিয়োগ কোম্পানি স্ট্র্যান্ড পার্টনার্সের চালানো জরিপে উঠে এসেছে, এ মূহুর্তে ৩৮ শতাংশ কোম্পানিই এআই প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে।
ওই প্রতিবেদনে প্রকাশিত অনুমান বলছে, এআই প্রযুক্তির উত্থানে ইউরোপের অর্থনৈতিক খাতও ইতিবাচক ফলাফল দেখিয়েছে, যেখানে আগের অনুমিত দুই লাখ ৮০ হাজার কোটি ইউরো আয়ের পরও অতিরিক্ত ৬০ হাজার কোটি আয়ের মুখ দেখেছে কোম্পানিগুলো।