এআই কোম্পানিগুলোর উপর নিবিড় অনুসন্ধান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন। সরকারি এ সংস্থাটি এর স্বপক্ষে, নাগরিকদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য আইনি অধিকার সুরক্ষার কথা বলেছে।
মার্কিন কংগ্রেসে মঙ্গলবার এক শুনানিতে অংশ নিয়ে দেশটির বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির সদস্যরা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নতির ফলে জালিয়াতির উচ্চ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এর ফলে তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ওপেনএআই নির্মিত চ্যাটজিপিটির নতুন সংস্করণে বিষ্ময়কর উন্নতিকে লাগামছাড়া বলছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট মহল।
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে কাজ করা শীর্ষ সংস্থা ফেডারেল ট্রেড কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন লিনা খান উপস্থিত ছিলেন শুনানিতে। তিনি মত প্রকাশ করেন, এআই এর নতুন সংস্করণ প্রতারণা ও বেআইনি কাজকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
“তাদের কে নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরী।”
কমিশনের আরেক সদস্য আলভারো বেডোয়া বলেন “তাদের প্রযুক্তি এমন কোন তেলেসমাতি নয় যে তারা আমাদের ব্যাখ্যা করে বোঝাতে পারবেন না।”
আরেক সদস্য রেবেকা স্লাউটার বলেছেন, গত একশ বছরের বেশি সময় ধরে তাদের নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের সংস্থা জনগণের সুরক্ষায় নতুন নতুন নীতিমালা তৈরী করেছে। এবারোও তার ব্যাত্যয় হবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরইমধ্যে তার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করেছেন। সে বৈঠকে তিনি বলেন, জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলায় ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তকারী হতে পারে এআই প্রযুক্তি, কিন্তু একই সঙ্গে তা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় বড় হুমকিও বটে।
অদূর ভবিষ্যতে এআই নিয়ে প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরী করতে গত ১১ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে উন্মুক্ত জনমত আহবান করা হয়েছে।