অ্যাপলের বহুল প্রতীক্ষিত মিক্সড রিয়ালিটি হেডসেট নিয়ে কিছুদিন পরপর বিভিন্ন গুঞ্জন শোনা গেলেও ডিভাইসটি সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য দেয়নি আইফোন নির্মাতা কোম্পানিটি। তবে, নির্ভরযোগ্য এক অ্যাপল বিশ্লেষক বলছেন ভিন্ন কথা।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক মার্ক গারম্যানের তথ্য অনুযায়ী, সম্ভবত জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপার্স কনফারেন্স (ডব্লিউডব্লিউডিসি)’-তে এর দেখা মিলবে। আর আসন্ন শরৎকাল থেকেই এটি বাজারজাত করা হবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ডিভাইসের সম্ভাব্য দাম তিন হাজার ডলার। আর এতে ব্যবহৃত হয়েছে অ্যাপলের নতুন ‘এক্সআরওএস’ নামের অপারেটিং সিস্টেম। পাশাপাশি, এটি ‘অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর)’ ও ‘ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (ভিআর)’ দুটো অভিজ্ঞতাই দেবে।
গারম্যান বলছেন, বিভিন্ন থার্ড পার্টি অ্যাপ তৈরি শুরু করতে এরইমধ্যে ‘কিছু সংখ্যক হাই-প্রোফাইল’ ডেভেলপারকে এই ‘রিয়ালিটি প্রো-ব্রান্ডেড’ ডিভাইস দেখিয়েছে অ্যাপল।
গারম্যানের অনুমানের মিল রয়েছে আরেক সুপরিচিত অ্যাপল বিশ্লেষক মিং-চি কুও’র অনুমানের সঙ্গে। গত সপ্তাহে তিনি বলেন, বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটির পাশাপাশি সফটওয়্যার তৈরিতে প্রয়োজনীয় রসদের ঘাটতি থাকায় হেডসেটটির নির্মাণকাজ পিছিয়েছে।
তিনি আরও যোগ করেন, বসন্তের কোনো মিডিয়া ইভেন্ট বা ‘ডব্লিউডব্লিউডিসি’ আয়োজনে অ্যাপলের হেডসেট উন্মোচনের ঘোষণা দেওয়ার ‘সম্ভাবনা বেশি’।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই হেডসেটের সম্ভাব্য কার্যক্ষমতা নিয়ে অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে আছে লগইন ও আর্থিক লেনদেনের জন্য ‘আইরিস স্ক্যানিং’ ব্যবস্থা এবং ‘ফিজিকাল ডায়াল’ সুবিধার মাধ্যমে ‘ভিআর’ থেকে বের হওয়ার মতো বিষয়গুলো।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইনফর্মেশনের’ তথ্য অনুযায়ী, হেডসেটে ইয়ারবাড ব্যবহারের সময় ‘আলট্রা-লো-লেটেনসি মোড’ সক্রিয় করার উদ্দেশ্যে এতে একটি ‘এয়ারপড প্রো’ সংযোগের ব্যবস্থাও রয়েছে।
এক হাজার চারশ ৯৯ ডলারের ‘মেটা কোয়েস্ট প্রো’র মতোই, এটি সম্ভবত গেইমিংয়ের চেয়ে ডিভাইসের কার্যকারিতার দিকে বেশি মনযোগ দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ভার্জ। আর এতে কোনো গেইমিং কন্ট্রোলার থাকার সম্ভাবনাও কম।
গারম্যান বলছেন, ডিভাইসের বিভিন্ন হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও সেবায় এখনও ‘বেশ কিছু সংখ্যক গেরো ছুটানো’ বাকি। এটি অ্যাপলের অন্যান্য প্রকল্পের গতিও কমিয়ে ফেলছে। ফলে, এই বছর সম্ভবত তুলনামূলক কম পণ্য বাজারে আনবে অ্যাপল। আর সম্ভবত এ কারণেই দুই বছরের মধ্যে নিজস্ব ডিভাইসে ইনটেল চালিত ব্যবহার না করার লক্ষ্য থেকে সরে এসেছে অ্যাপল।