ছুরিনির্ভর অপরাধ ঠেকানোর লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের মেট্রোপলিটন পুলিশের ‘অপারেশন স্পেকটার’-এর অংশ হিসেবে এ সিস্টেমটি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করেছে।
Published : 13 Feb 2025, 03:44 PM
সম্প্রতি নতুন এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সিস্টেম তৈরি করেছেন গবেষকরা। তাদের দাবি, ছুরি শনাক্ত ও এর উৎস কোথায় তা আরও ভালোভাবে জানতে পুলিশকে সহায়তা করবে এটি।
‘নাইফ হান্টার’ নামের এ সিস্টেমটি যুক্তরাজ্যের মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় তৈরি করেছে সারে ইউনিভার্সিটির ‘ইনস্টিটিউট ফর পিপল-সেন্ট্রেড এআই’।
এ টুলটি পুলিশকে আরও দ্রুত অস্ত্র পেতে, উদ্ধার বা জব্দ করতে, পুলিশের কাজকে সমর্থন ও নীতি নির্ধারণকে জানানোর জন্য ছুরি অপরাধের ধরন সম্পর্কে প্রতিবেদন তৈরিতেও সহায়তা করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
এ সিস্টেমটিকে ‘সবার জন্য নিরাপদ রাস্তা তৈরির’ সম্ভাবনাসহ এক ‘বড় পদক্ষেপ’ হিসাবে বর্ণনা করেছে ‘সারে ইউনিভার্সিটি’।
ছুরিনির্ভর অপরাধ ঠেকানোর লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের মেট্রোপলিটন পুলিশের ‘অপারেশন স্পেকটার’-এর অংশ হিসেবে এ সিস্টেমটি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করেছে।
‘ইনস্টিটিউট ফর পিপল-সেন্ট্রেড এআই’-এর প্রকল্প প্রধান অধ্যাপক মিরোস্লা বোবার বলেছেন, এ সিস্টেমটি দেশটির অন্যান্য পুলিশ বাহিনী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছেও চালু করা হবে।
“গত তিন বছর ধরে মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে আমরা এ সিস্টেমটি তৈরি করেছি। আমাদের ধারণা, দেশজুড়ে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যেভাবে ছুরি সংশ্লিষ্ট অপরাধ ঠেকায় তাতে বিপ্লব ঘটাতে পারে এটি,” বলেন তিনি।
“অস্ত্রের উৎস কোথায় তা উন্মোচনে সহায়তা করার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ এ সিস্টেম।
“সবার জন্য নিরাপদ সড়ক তৈরি করতে পুলিশ ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করার জন্য নাইফ হান্টার ও এর মতো বিভিন্ন টুলের সম্ভাবনা নিয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত।”
২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ৫০ হাজারেরও বেশি ছুরি ব্যবহার করে ঘটানো অপরাধ রেকর্ড করেছে কর্তৃপক্ষ, যা আগের বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
পাঁচশ ৫০টি ছুরির ধরনের ২৫ হাজারেরও বেশি ছবির ডেটা সেটের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এ সিস্টেমটিকে।
গবেষকরা বলছেন, এর মানে হচ্ছে দেখার কোণ বা আলোর অবস্থা যাই হোক না কেন কোনো অস্ত্রের সামান্যতম স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যও শনাক্ত করতে পারবে এটি।
‘ইনস্টিটিউট ফর পিপল-সেন্ট্রেড এআই’-এর পরিচালক অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান হিলটন বলেছেন, “গবেষণার এই উদ্ভাবন একেবারে সময়োপযোগী।”