সেরা প্রান্তিকেও রিয়ালিটি ল্যাবসের লোকসান ৪০০ কোটি ডলার

রিয়ালিটি ল্যাবস বাদেও সামগ্রিকভাবে ভালো এক প্রান্তিক কাটিয়ে বছর শেষ করেছে মেটা, যেখানে কোম্পানির আয় ছিল চার হাজার একশ কোটি ডলার।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2024, 09:37 AM
Updated : 3 Feb 2024, 09:37 AM

মেটার এআর, ভিআর ও মেটাভার্স বিভাগ ‘রিয়ালিটি ল্যাবস’ নিজের সেরা প্রান্তিক কাটালেও তাদের শত শত কোটি ডলার লোকসানের ধারা এখনও অব্যাহত রেখেছে।

গত বছরের শেষ প্রান্তিকে একশ কোটি ডলারের বেশি আয় করেছে রিয়ালিটি ল্যাবস। আর এর পেছনে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব কোয়েস্ট হেডসেট ও মেটার তৈরি করা রে-ব্যান স্মার্টগ্লাসের।

এ একশ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের বিষয়টি বিশ্বের শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানির মেটাভার্স বিভাগটির জন্য নতুন এক মাইলফলক। তবে, অদূর ভবিষ্যতে কোম্পানির শত শত কোটি ডলার লোকসানের এ ধারাও অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেট।

গত বছরের শেষ প্রান্তিকে সর্বমোট ৪৬০ কোটি ডলার খুইয়েছে রিয়ালিটি ল্যাবস। আর গোটা ২০২৩ সালের হিসাবে তা বেড়ে গিয়ে ঠেকেছে এক হাজার ছয়শ কোটি ডলারে।

মেটার আর্থিক প্রধান সুসান লি বলেছেন, “অগমেন্টেড রিয়ালিটি/ ভার্চুয়াল রিয়ালিটিভিত্তিক পণ্য বিকাশ নিয়ে কোম্পানির চলমান প্রচেষ্টা ও আমাদের ইকোসিস্টেমকে আরও বড় পরিসরে নিতে যে আর্থিক বিনিয়োগ হবে তাতে আসন্ন বছরগুলোয় এ লোকসানের মাত্রা ‘অর্থপূর্ণ’ উপায়ে বাড়তে চলেছে।”

বছরের চতুর্থ প্রান্তিক গ্রাহকের ‘হলিডে সিজন’ হিসেবে পরিচিত, যখন সাধারণত কোনো পণ্য বিক্রির সেরা বাস্তবিক রূপটি ফুটে ওঠে। কোম্পানির বিশ্লেষকদের সঙ্গে এক বৈঠকে মার্ক জাকারবার্গ ইঙ্গিত দিয়েছেন, এবারের প্রান্তিকে সবচেয়ে ভালো ফলাফল দেখিয়েছে কোম্পানির স্মার্টগ্লাস। আর ‘এর উচ্চ চাহিদার কারণে’ মেটার সঙ্গে যৌথভাবে আরও বেশি স্মার্টগ্লাস বানানোর পরিকল্পনা করছে রে-ব্যানের নির্মাতা কোম্পানি এসিলরলুক্সোটিকা।

তিনি আরও যোগ করেন, কোয়েস্ট ২ ও কোয়েস্ট ৩’-এর মতো ডিভাইসগুলোও ‘ভালো করছে’, যেখানে কোয়েস্ট ৩ হেডসেটকে ‘সবচেয়ে জনপ্রিয় মিক্সড রিয়ালিটি ডিভাইস’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

রিয়ালিটি ল্যাবস বাদেও সামগ্রিকভাবে ভালো এক প্রান্তিক কাটিয়ে বছর শেষ করেছে মেটা, যেখানে কোম্পানির আয় ছিল চার হাজার একশ কোটি ডলার। আর গোটা বছরের হিসাবে তা সাড়ে ১৩ হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি। এ ছাড়া, ফেইসবুকের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ২১০ কোটি পর্যন্ত।

মেটা সিএফও সুসান লি বলেছেন, কোম্পানি মেট্রিক শেয়ারিং পদ্ধতি থেকে ‘সরে আসছে’, যার ফলে তারা এখন থেকে ফেইসবুকের দৈনিক বা মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী বা ‘মাসিক সক্রিয় পারিবারিক ব্যক্তিদের’ সংখ্যা নিয়ে আর প্রতিবেদন প্রকাশ করবে না।