দীর্ঘদিন ধরে এ সমাধিতে পড়ে ছিল ১২টি কঙ্কাল, যেখানে রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেগুলো উদ্ধার করেছে গবেষণা দলটি।
Published : 16 Oct 2024, 05:02 PM
জর্ডানে অবস্থিত বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের একটি, অর্থাৎ পেত্রা শহরের ‘ট্রেজারি’ স্মৃতিস্তম্ভে একটি গোপন সমাধি খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
দীর্ঘদিন ধরে এ সমাধিতে পড়ে ছিল ১২টি কঙ্কাল, যেখানে রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেগুলো উদ্ধার করেছে গবেষণা দলটি।
দুই দশকের বেশি সময় আগে ইউনেস্কো’র ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ তকমা পাওয়া জনপ্রিয় এ স্মৃতিস্তম্ভের অপর পার্শ্বে প্রায় একই ধরনের সমাধির খোঁজ মিলেছিল, যেখানে প্রতি বছরই লাখ লাখ দর্শক এলাকাটি দেখতে আসেন।
ট্রেজারি স্মৃতিস্তম্ভের অবস্থান পেত্রা শহরের একেবারে মাঝখানে, যা প্রায় দুই হাজার বছর আগে এক মরুভূমির গিরিখাতের দেয়ালে খোদাই করেছিলেন নাবাতিয়ান বা উত্তর আরবের লোকজন।
এটি নির্মাণের সত্যিকারের উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়।
ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট অ্যান্ড্রুজ, জর্ডানিয়ান ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যান্টিকুয়িটিস ও আমেরিকান সেন্টার অফ রিসার্চ-এর গবেষকরা ওই স্মৃতিস্তম্ভের চারপাশে রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করার অনুমতি পেয়েছিলেন।
তারা ওই স্মৃতিস্তম্ভের আশপাশের এলাকাও অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এতে তারা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক প্রযুক্তি ও মাটি ভেদ করা রেডার ব্যবহার করেছেন। আর এর থেকে যা পাওয়া গেছে, তা গবেষকদের ধারণার বাইরে।
এর মধ্যে একটি কঙ্কাল এক ভাঙা জগের ওপরের অংশ আঁকড়ে ধরে ছিল, যা সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর ঘটনা।
ইউনিভার্সিটি অফ অ্যান্ড্রুস-এর ভূপদার্থবিদ ও অধ্যাপক রিচার্ড বেটস এনবিসি নিউজকে বলেছেন, এর দেহাবশেষে হয়ত নারী ও পুরুষ উভয়ই আছে, যাদের বয়স ছিল শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত।
গবেষকদের আশা, এই অনুসন্ধান ট্রেজারি ও নাবাতিয়ান রাজ্যের মানুষদের নিয়ে হয়ত নতুন তথ্যের যোগান দেবে।
“অনুসন্ধানটি আন্তর্জাতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, এর আগে পেত্রা থেকে প্রথম দিকের নাবাতিয়ানদের গোটা সমাধি উদ্ধারের ঘটনা তেমনভাবে ঘটেনি। এ ছাড়া, তাদের সমাধি, জিনিসপত্র ও দেহাবশেষ কীভাবে সংরক্ষিত হয়েছে, নাবাতিয়ানরা কারা, সে সম্পর্ক প্রচলিত জ্ঞানের শুন্যতাও এতে পূরণ হবে বলে আশা করা যায়,” বলেন অধ্যাপক বেটস।