বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের সবচেয়ে দামী কোম্পানি হওয়ার ‘মিউজিক্যাল চেয়ারে’ এখন লড়াই করছে এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট ও অ্যাপল।
Published : 21 Jun 2024, 04:26 PM
মার্কিন চিপ জায়ান্ট এনভিডিয়ার কাছে বিশ্বের সবচেয়ে দামী কোম্পানির খেতাব হারানোর দুই দিন পরই তা পুনরুদ্ধার করেছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট।
গেল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে এনভিডিয়ার শেয়ারমূল্য সাড়ে তিন শতাংশ কমে যাওয়ার পরপরই তালিকার শীর্ষস্থান থেকে ছিটকে যায় এই চিপ নির্মাতা। এর ফলে, কোম্পানিটির বাজারমূল্য কমে এসেছে তিন লাখ ২০ হাজার কোটি ডলারে।
একই দিনে মাইক্রোসফটের শেয়ারে কিছুটা দরপতন দেখা গেলেও তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার বাজারমূল্য নিয়ে দিন শেষ করে কোম্পানিটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের সবচেয়ে দামী কোম্পানি হওয়ার ‘মিউজিক্যাল চেয়ারে’ এখন লড়াই করছে এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট ও অ্যাপল। এমনকি তারা বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে চার ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর লক্ষ্যও নিয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় শেয়ারবাজারে বড় উত্থান দেখেছে এনভিডিয়া, যেখানে বেশিরভাগ কৃতিত্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক পণ্য বিকাশে কোম্পানির প্রাথমিক বিনিয়োগের।
মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে মাইক্রসফটকে সরিয়ে শীর্ষে চলে যায় এনভিডিয়া, যেখানে ২০২২ সালের পর থেকে নিজেদের শেয়ারমূল্য ১০ গুন বেড়েছে কোম্পানিটির। ফলে, সেদিন কোম্পানির বাজারমূল্য তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
কেউ কেউ ধারণা প্রকাশ করেছেন, এর পর থেকে কোম্পানিটি ওপরের দিকেই যেতে থাকবে। তবে আরেক অংশ প্রশ্ন তুলেছে, এতে করে কোম্পানিটিকে সম্ভবত অতিমূল্যায়িত করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এনভিডিয়া এআই খাতে নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে পারে কি না, বা প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য তাদের শেয়ারে প্রভাব পড়বে কি না। কারণ, এ খাতের লাগাম নিজেদের হাতে নিতে এরইমধ্যে প্রচুর বিনিয়োগ করছে কোম্পানিগুলো।
মার্কিন বিনিয়োগকারী ব্যাংক ডি.এ. ডেভিডসনের বিশ্লেষক জিল লুরিয়ার মতে, “এ বিষয়ে এনভিডিয়ার সতর্কতা এসেছে দীর্ঘমেয়াদী এক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।”
“এ ধরনের পারফর্মেন্স বজায় রাখা খুবই জটিল বিষয়।”