সপ্তাহের শেষ কার্য দিবস ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬১০ কোটি টাকার।
Published : 21 Mar 2024, 04:18 PM
লেনদেনে খরা আর সূচকের অস্থিরতা নিয়ে বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বৈঠকের পরদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকে যোগ হল ৬৯ পয়েন্ট।
সপ্তাহের শেষ কার্য দিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬১০ কোটি টাকার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩০৩টি কোম্পানির শেয়ারের, কমেছে ৪৪টির; ৫০টির অপরিবর্তিত রয়েছে।
দিন শেষে এ বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইক্স ৬৯ পয়েন্ট এগিয়ে পাঁচ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে পৌঁছেছে। অন্য দুই সূচক ডিএস৩০ হয়েছে দুই হাজার ৫৭ পয়েন্ট। আর শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস এক হাজার ২৯৩ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
গত সপ্তাহে পতন দিয়ে শেষ করা বাজারে এ সপ্তাহেও গতি আসেনি। সূচকের উত্থান-পতনের চেয়ে লেনদেন কমে যাওয়া নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবারও ডিএসইতে সূচক বেড়েছিল ৫৮ পয়েন্ট। কিন্তু লেনদেন ছিল ৪৬৫ কোটি টাকার সামান্য উপরে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ডিএসই সূচক ছিল ছয় হাজার ২৭২ পয়েন্ট। সেই হিসাবে গত চার সপ্তাহে ডিএসইএক্স সূচক ৩৩১ পয়েন্ট হারায়।
এ প্রেক্ষাপটে বুধবার ডিএসইর ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসইসি।
আগারগাঁওয়ে বিএসইসির প্রধান কার্যালয়ে ওই সভার সভাপতিত্ব করেন কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। বৈঠেকে বাজার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিনিয়োগ বাড়াতে ও বিনিয়োগকারীদের বাজারের প্রতি আকৃষ্ট করতে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকেও আরো উদ্যোগী হওয়ার তাহিদ দেওয়া হয় ওই সভায়।
এরপর বৃহস্পতিবারই ডিএসইতে সূচক বাড়ল ৬৯ পয়েন্ট। একদিনে বাজার মূলধন বাড়ল ৫২ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা।
বুধবারের বৈঠকে অংশ নেওয়া ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাজারের এ মিশ্র আচরণকে দর সংশোধন হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
“ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পরে বাজার কারেকশন (শেয়ার দর সংশোধন) হচ্ছে। হওয়াটা স্বাভাবিক, কিন্তু এবার বেশি সময় নিয়ে হচ্ছে। এছাড়া বাজারের এমন আচরণ করার আর কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না।’’