ডিএসই সূচক নামল ৬ হাজারের নিচে

বুধবার লেনদেন শেষ হয়েছে সূচকের ঘরে ৫ হাজার ৯৭৪ পয়েন্ট নিয়ে, যা ২০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2024, 08:39 AM
Updated : 13 March 2024, 08:39 AM

রোজার প্রথম দিন ব্যাপক পতনের পর দ্বিতীয় দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক নেমে এসেছে ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে।

দেশের প্রধান এ শেয়ারবাজারে বুধবার লেনদেন শেষ হয়েছে সূচকের ঘরে ৫ হাজার ৯৭৪ পয়েন্ট নিয়ে, যা ২০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এর আগে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই এ বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে নেমেছিল। তারপর আর কখনও ছয় হাজারের নিচে নামেনি।

রোজার প্রথম দিন মঙ্গলবার ডিএসইএক্স ৫১ পয়েন্ট হারায়, হাতবদল হয় ৫৬৩ কোটি টাকার শেয়ার।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় সূচকের ঘরে ৬ হাজার ৬ পয়েন্ট নিয়ে। তের মিনিটের মাথায় ৯ পয়েন্ট হারিয়ে ডিএসইএক্স নেমে আসে ছয় হাজারের নিচে। 

এরপর বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সূচক পতন চলে। সূচক নেমে যায় ৬ হাজার ৯৫০ পয়েন্টে। এর মধ্যে দুইবার সূচক ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও তা টেকসই হয়নি।

তবে বেলা সাড়ে ১১টার পর খানিকটা ঘুড়ে দাঁড়িয়ে সাড়ে ১২টার দিকে হারানো পয়েন্টের অনেকটাই ফিরে পায় ডিএসইএক্স। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ছয় হাজার পয়েন্টও ছাড়িয়ে যায়।

কিন্তু বাকি সময় আবার ধীরে ধীর পড়তে থাকে বাজার। বেলা দেড়টায় সূচকে ৫ হাজার ৯৭৪ পয়েন্ট নিয়ে লেনদেন শেষ হয়।

ডিএসইতে লেনদেন কমে এদিন মোট ৪৮৩ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দর হারিয়েছে ২২২টি, দর বেড়েছে ১১২টির এবং ৬০টি শেয়ারের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

রোজায় সাধারণ সময়ের তুলনায় পুঁজিবাজারে লেনদেন একটু কম হয়। কিন্তু এবার শুরু থেকেই সূচকের বড় পতন স্বাভাবিক মনে করছেন না ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুল ইসলাম।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরাও বাজার বোঝার চেষ্টা করছি। তেমন কোনো দৃশ্যমান কারণ দেখা যাচ্ছে না সূচক পতনের। মনস্তাত্ত্বিক কোনো কারণ থাকতে পারে। শেয়ারের দর খুব একটা পড়েনি। তাই মনে হচ্ছে সূচক আগের জায়গায় যেতে পারবে।”

ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারী শাহজাহান ওমর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রোজায় তো লেনদেন কম হবে। এবার অনেক কম হল প্রথম দিকেই। ডিএসইর আইটি সমস্যা দেখেই কেউ কেউ ঢিলা দিয়েছে। আবার ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের ট্রেডাররাও ঢিলা দিছে। আরো কিছুদিন গেলে বোঝা যাবে সমস্যা কই।’’