ডিএসইতে আগের দিনের ১০৬৫ কোটি টাকার লেনদেন নেমে এসেছে ৭২৬ কোটি টাকায়।
Published : 03 Sep 2024, 09:07 PM
বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমায় দ্বিতীয় দিনের মতো দরপতন হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে। তবে ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা এ বাজারে লেনদেন ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মঙ্গলবার সূচকের উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরুর পর বেশির ভাগ সময় ওঠানামার মধ্য দিয়ে শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। দিন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএকস ১৭ পয়েন্টে কমে নেমেছে ৫ হাজার ৭৮৬ পয়েন্টে।
এদিন লেনদেন শুরু হওয়ার ২১ মিনিটে আগের দিনের চেয়ে সূচকে ২৪ পয়েন্ট যোগ হয়েছিল অর্থাৎ সূচক উঠে গিয়েছিল ৫ হাজার ৮২৭ পয়েন্টে। পরের ৯ মিনিটে দর সমন্বয় শুরু হলে সূচক নেমে যায় আগের দিনের চেয়ে ২ পয়েন্ট নিচে। পরের আধা ঘণ্টায় কেনার চাপ বাড়লে সূচকও বাড়ে। এভাবে লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টায় সূচক সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৮৩৩ পয়েন্টে ওঠে। এটিই ছিল দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান সূচকে।
তবে শেষ দেড় ঘণ্টার লেনদেনে শেয়ারের দরপতনের পরিমাণ বাড়লে আগের দিনের চেয়েও নিচে চলে যায় ডিএসইর প্রধান সূচকটি।
দিন শেষে ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দর হারায় ১০২টির, দর বাড়ে ২৫৮টির ও আগের দরে লেনদেন হয় ৩৮টির শেয়ার দর।
বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমার প্রভাব দেখা গেছে লেনদেনেও। আগের দিনের ১০৬৫ কোটি টাকার লেনদেন নেমে এসেছে ৭২৬ কোটি টাকায়।
লেনদেনের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, এদিন সবচেয়ে বেশি ১৭ দশমিক ২৬ শতাংশ অবদান রেখেছে ব্যাংক খাত। এরপরই ১৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ অবদান ওষুধ ও রসায়ন খাতের। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। মোট লেনদেনের ১৩ শতাংশই অবদান রেখেছে খাতটি।
ডিএসইর প্রধান সূচক কমলেও ঊর্ধ্বমুখী ছিল শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস। আগের দিনের চেয়ে ১ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২৩৭ পয়েন্ট। আর ডিএস৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে হয় ২ হাজার ১৩৩ পয়েন্ট।
একক কোম্পানি হিসেবে ডিএসইতে দর বাড়ায় শীর্ষে ছিল বঙ্গজ লিমিটেড, দর বাড়ে ১০ শতাংশ। এছাড়া প্রায় ১০ শতাংশ দর বাড়ে জিপিএইচ ইস্পাত ও বাংলাদেশ অটোকারসের।
অন্যদিকে সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশের কাছে শেয়ার দর হারায় নিউলাইন ক্লোথিংস। দর হারানোর শীর্ষে আরও ছিল বিআইএফসি ও কপারটেক।