সার্ভারের জটিলতায় সূচকের অস্বাভাবিক তথ্য আর বিভ্রান্তির মধ্যে একটি দিন পার করার পর স্বাভাবিক আচরণে ফিরেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইক্স।
সোমবার লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঘরে দেখানো হয় ৬০৭৫ দশমিক ২৪ পয়েন্ট। এক ঘণ্টার মাথায় তা ৬০৯৭ পয়েন্টে উঠে যায়। দুই ঘণ্টার মাথায় তা নেমে আসে ৬০৫৮ পয়েন্টে। সূচকের সংখ্যার সঙ্গে রেখচিত্রও স্বাভাবিক আচরণ করছে।
রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনের শুরুতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের একটি কোম্পানির তথ্য হালনাগাদ করতে গিয়ে সার্ভারে জটিলতা ধরা পড়ে। সূচকে ভুল তথ্য দেখানোয় দিনভর তা নিয়ে বিভ্রান্তি চলে। তার মধ্যেই শেয়ার কেনাবেচা করতে হয় বিনিয়োগকারীদের।
গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে লেনদেন শেষ হয়েছিল সূচকের ঘরে ৬ হাজার ১১২ পয়েন্ট নিয়ে।কিন্তু রোববার সূচক অস্বাভাবিক তথ্য দেখাতে থাকে। লেনদেন শেষে দেখানো হয় সূচক রয়েছে ১৪১ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক দিনে সূচক হারিয়েছে ৫ হাজার ৯৭১ পয়েন্ট বা প্রায় ৯৮ শতাংশ। অথচ শেয়ারদর ওঠানামায় সার্কিট ব্রেকার (সর্বোচ্চ কতটুকু উঠতে বা কমতে পারবে সেই সীমা) থাকায় একদিনে এতটা পতন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
কারিগরি সমস্যায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের মতে গড়বড় দেখা যায় অন্য সূচকগুলোতেও। তবে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ঠিকই ছিল। এ বাজারের প্রধান সূচক সিএসসিএক্স দিন শেষে কমে শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ।
কারিগরি ত্রুটির কারণ হিসেবে ডিএসই রোববার বিকাল পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি। তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তালিকাভুক্ত একটি আইটি কোম্পানির তথ্য হালনাগাদ করতে গিয়ে প্রধান সূচকে সমস্যা তৈরি হয়। কোম্পানির তথ্য পরিবর্তনের সঙ্গে প্রধান সূচক সমন্বয় করতে গিয়েই তা হয়।”
ওই জটিলতা তৈরি হয়েছিল আমরা নেটওয়ার্কের তথ্য হালনাগাদ করতে গিয়ে। পরে ওিই কোম্পানির সব লেনদেন বাতিল করার কথা জানায় ডিএসই।
এ ঘটনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও ডিএসই পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। দুই কমিটিকেই তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
স্বাভাবিক আচরণে ফেরার পর সোমবার ডিএস৩০ সূচক ২০৮৩ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট, আর শরীয়াহ সূচক ১৩২৪ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট থেকে লেনদেন শুরু করে।
এদিন প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে মোট ৩০১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। হাতবদল হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১১৭টির দাম কমে, ২০৭টির বাড়ে এবং ৬২টির দর অপরিবর্তিত থাকে।
পুরনো খবর: