রোববার বাংলাদেশের দুই পুঁজিবাজারেই সূচক লেনদেন কমেছে। দিনের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিন থেকে ৬৫ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৯৩০ দশমিক শূণ্য ৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
চার সপ্তাহে ৪৩৬ পয়েন্ট সূচক কমার পর গত সপ্তাহে ৮৯ পয়েন্ট যোগ হয় ডিএসই সূচকে। তাতে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু রোববারের বড় পতন তার গুঁড়ে দিল বালি।
রোববার ঢাকার বাজারে লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের চেয়ে ২৬ দশমিক ২২ শতাংশ বা ৩৯৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা কমেছে।
ডিএসইতে হাতবদল হওয়া ৩৭৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে ৭৩ শতাংশ কোম্পানির দাম কমেছে। বিপরীতে ১৮ শতাংশের দাম বেড়েছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১২ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৬৪ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে।
ডিএস৩০ সূচক ২৪ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ৬৫৫ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে।
লেনদেনের শীর্ষ ১০
বেক্সিমকো, ব্র্যাক ব্যাংক, অরিয়ন ফার্মা, আইএফআইসি ব্যাংক, জেনেক্স ইনফোসিস, সাইফ পাওয়ার, বিএটিবিসি, এনআরবিসি ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
দর বৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০
দর পতনে শীর্ষ ১০
প্রিমিয়ার সিমেন্ট, আগূন ডেনিমস, ফারইস্ট নিটিং, অ্যাম্বী ফার্মা, সাফকো স্পিনিং, শাইনপুকুর সিরামিকস, মির আখতার হোসেইন, এমআই সিমেন্ট, প্যাসিফিক ডেনিমস ও তিতাস গ্যাস।
রোববার চট্টগ্রাম স্টক এবক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২০৩ দশমিক ৯১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২০ হাজার ২৯৩ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে।
এই বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৩১ দশমিক ০৯ শতাংশ বা ১৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা কমেছে।
এদিন মোট ৩১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৪৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
সিএসইতে ২৭১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৩টির, কমেছে ১৯৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির দর।