সানোফি বাংলাদেশের বেশিরভাগ শেয়ার এখন বেক্সিমকো ফার্মার

বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি সানোফি বাংলাদেশের ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2021, 03:17 PM
Updated : 3 Oct 2021, 03:17 PM

রোববার বেক্সিমকো ফার্মা  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ তথ্য জানিয়েছে।

এ পরিমাণ শেয়ার কিনতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানিটির দিতে হয়েছে ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড; বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৬৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ও লন্ডনের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো ফার্মা সানোফি বাংলাদেশের বেশির ভাগ শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছিল।

ডিএসইতে দেওয়া ওই ঘোষণায় বলা হয়েছিল পুরো শেয়ার কেনার প্রক্রিয়া শেষ করতে ছয় থেকে নয় মাস সময় লাগতে পারে।

রোববার শেয়ার কেনার পুরো প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা জানাল বেক্সিমকো ফার্মা।

সানোফি বাংলাদেশের বাকি ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ২৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ আছে বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় এবং ১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের হাতে।

যে কটি বহুজাতিক কোম্পানি বাংলাদেশে কারখানা করে ওষুধ উৎপাদন এবং বাজারজাত করে আসছিল, তাদের মধ্যে সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেড একটি।

ফরাসি কোম্পানি সানোফি বাংলাদেশে ব্যবসা করে আসছে ছয় দশকের বেশি সময় ধরে। ২০১৯ সালে হঠাৎ করেই তারা ব্যবসা গুটিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানেয়েছিল।

ওই বছর অক্টোবরে সানোফির এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা পুরোপুরিভাবে কাজে লাগানোর মত অবস্থানে সানোফি নেই। এ অবস্থার পরিবর্তনে সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেডে থাকা আমাদের শেয়ার হস্তান্তরের জন্য অংশীদার খুঁজছি।”

তাদের সেই ঘোষণার ১৫ মাস পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সানোফির হাতে থাকা ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ার বেক্সিমকোর কাছে বিক্রির জন্য চুক্তি করার খবর এসেছিল।

এ অধিগ্রহণের ফলে বেক্সিমকো হৃদরোগ, ডায়াবেটিস,ক্যান্সার, চর্মরোগ চিকিৎসার ঔষধ এবং ভ্যাকসিন বাজারজাতকরণে আগের চেয়ে ভাল করবে।

১৯৫৮ সালে ‘মে অ্যান্ড বেকার’ নামে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানি সানোফি। পরে ২০০৪ সালে সানোফি-অ্যাভেন্টিস গ্রুপ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত হয়।

২০১৩ সালে কোম্পানিটির নাম বদলে সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেড রাখা হয়।

টঙ্গীতে এ কোম্পানির একটি ওষুধ তৈরির কারখানা রয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ভ্যাকসিন, ইনসুলিন ও কেমোথেরাপির নানা ওষুধ সানোফি বাংলাদেশে আমদানি করে।

হৃদরোগ, ডায়াবেটিকস, টিউমার চিকিৎসা, চর্মরোগ এবং সিএনএসে সানোফির ওষুধ বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়।

চুক্তির আওতায় টঙ্গীতে সানোফির কারখানার কাছে ২৫ একর জায়গাজুড়ে একটি সেফালোস্পিরিন এন্টিবায়োটিক তৈরির কারখানাসহ অন্যান্য ওষুধ তৈরির কারখানার মালিকানাও বেক্সিমকো পাবে বলে তখন জানানো হয়েছিল।