সপ্তাহের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার বাংলাদেশের দুই পুঁজিবাজারেই শেয়ারের মূল্য সূচকে দেড় শতাংশের বেশি দরপতন হয়। এর মধ্যে ঢাকার বাজার সূচকের ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও চট্টগ্রামের বাজার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ হারিয়েছে।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৯৪ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৯৫ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৯৯ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ৫৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দরপতনের কারণ ব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মতিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিনিয়োগকারীরা তাদের মুনাফা তুলে নিয়েছে। সবাই মুনাফা তুলতে চাওয়ায় বিক্রির চাপে সূচক কমে গেছে।
“এছাড়া গত দুই তিন মাসে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সূচক অনেক বেড়েছে। টানা সূচক বাড়তে পারে না। কিছুটা মূল্য সংশোধন হতে হয়। আজকের পতনটা সংশোধনের একটা অংশ।”
এদিন ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেনেও বড় পতন হয়েছে। মঙ্গলবার ১ হাজার ১২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের কর্মদিবসে ১ হাজার ৫৮৫ কোটি ২২ লাখ টাকা ছিল।
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৭টির, আর কমেছে ২৫৫টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৫টির দর।
ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৭ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৭৯ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৩৯ দশমিক শূণ্য ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৬২ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে।
সিএসইতে এদিন ৬৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৫২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
এই বাজারে লেনদেন হয়েছে ২৫১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২টির, কমেছে ১৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টির দর।