বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
স্টক এক্সচেঞ্জে দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কোম্পানিগুলো কয়েক বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ বা সুদ দিচ্ছে না। তাই এসব কোম্পানির শেয়ারের ও ডিবেঞ্চারের কোনো ক্রেতাও নেই।
দুই দশকের বেশি সময় আগে এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে অনেকেই বড় আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন। তাই নামেমাত্র তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের লেনদেন বন্ধ বিনিয়োগকারীদের ফেরতের উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।
এগুলোর মধ্যে দোয়েল গ্রুপ বছরে ১৪ শতাংশ মুনাফা দেওয়ার কথা বলে ১৯৯৫ সালে বিডি জিপার ও ১৯৯৬ সালে বিডি লাগেজ নামে দুটি ডিবেঞ্চার পুঁজিবাজারে ছেড়ে অর্থ তুলেছিল।
বিএসইসি এগুলোর লেনেদেন বন্ধ করে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এসক্রো অ্যাকাউন্ট (তৃতীয় পক্ষের খোলা ব্যাংক হিসাব) খুলে বিনিয়োগকারীদের দাবিকৃত অর্থ আদায় করার পর তাতে জমা রেখে সেখান থেকে পাওনা পরিশোধ করতে স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওটিসি মার্কেটে তালিকাভুক্ত আরও চারটি কোম্পানির ক্ষেত্রেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ওষুধ খাতে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে ১৯৯২ সালে।
এই কোম্পানির মোট শেয়ারের সংখ্যা ১১ লাখ ৭৫ হাজার ২৮০টি।
এর ফেসভ্যালু ১০০ টাকা। বর্তমান এই কোম্পানির শেয়ারের বাজারমূল্য ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। এর পরিশোধিত মূলধন ১১ কোটি ৭৫ লাখ। কোম্পানির বর্তমান বাজার মূলধন ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর রিজার্ভের পরিমান ঋণাত্মক ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
এই কোম্পানির মোট শেয়ারের ৪৩ দশমিক শূণ্য ৫ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ২৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ২৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং ইন্ডাস্ট্রিজ
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ বাংলাদেশ ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে ১৯৯৪ সালে।
এই কোম্পানির মোট শেয়ারের সংখ্যা ১২ লাখ। এর ফেসভ্যালু ১০০ টাকা। কোম্পানির শেয়ারের বাজারমূল্য ২২ টাকা ৩০ পয়সা। এর পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি। কোম্পানির বর্তমান বাজার মূলধন ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর রিজার্ভের পরিমাণ ঋণাত্মক ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
এই কোম্পানির মোট শেয়ারের ৪০ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ৪১ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ লাগেজ ইন্ডাস্ট্রিজ
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিবিধ খাতে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ লাগেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে ১৯৯৬ সালে।
এই কোম্পানির মোট শেয়ারের সংখ্যা ২০ লাখ, ফেসভ্যালু ১০০ টাকা। কোম্পানির শেয়ারের বাজারমূল্য ১৪ টাকা, পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি। কোম্পানির বর্তমান বাজার মূলধন ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর রিজার্ভের পরিমান ঋণাত্মক ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
এই কোম্পানির মোট শেয়ারের ৫০ শতাংশ আছে পরিচালকদেরে হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ২৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। সাধারন বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ২৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বাংলাদেশে জিপার ইন্ডাস্ট্রি:
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশে জিপার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে ১৯৯৫ সালে।
এই কোম্পানির মোট শেয়ারের সংখ্যা ৮ লাখ ৮০ হাজার, ফেসভ্যালু ১০০ টাকা। কোম্পানির শেয়ারের বাজারমূল্য ১৭ টাকা। এর পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি ৮০ লাখ কোটি। কোম্পানির বর্তমান বাজার মূলধন ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর রিজার্ভের পরিমাণ ঋণাত্মক ১১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
এই কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩৪ দশমিক শূণ্য ৯ শতাংশ আছে পরিচালকদেরে হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ৩৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ২৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।