৩ কোম্পানির শেয়ার দরের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি

কোনো কারণ ছাড়াই বাড়ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানির শেয়ারের দাম।

কোম্পানি তিনটি হল ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি ও দুলা মিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।

মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়ার কোনো কারণ না পাওয়ার কথা জানানো হয়ে।

ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স

ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ারের দাম দুই মাসে প্রায় ২২৩ শতাংশ বেড়েছে।

অস্বাভাবিক এই দর বৃদ্ধির যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারেনি পুঁজিবাজারে বীমা খাতে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানি।

ক্রমাগত দাম বাড়তে থাকায় সোমবার ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের কাছে কারণ জানতে চেয়েছিল ডিএসই। জবাবে ওই কোম্পানি বলেছে, তাদের কাছে অপ্রকাশিত এমন কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই, যার প্রভাবে শেয়ারের দাম বাড়তে পারে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২ জুলাই ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ারের দাম ছিল ২৯ টাকা ৮০ পয়সা, যা বাড়তে বাড়তে মঙ্গলবার ৯৬ টাকা ২০ পয়সায় উঠেছে।

অর্থাৎ, দুই মাসে দাম বেড়েছে ৬৬ টাকা ৪০ পয়সা বা ২২২ দশমিক ৮২ শতাংশ।

রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি

রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ারের দাম মাত্র ১ মাসে প্রায় ৭২ শতাংশ বেড়েছে।

ক্রমাগত দাম বাড়তে থাকায় সোমবার কোম্পানিটির কাছে তার কারণ জানতে চেয়েছিল ডিএসই। জবাবে ওই কোম্পানি বলেছে, তাদের কাছে অপ্রকাশিত এমন কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই, যার প্রভাবে শেয়ারের দাম বাড়তে পারে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৯ জুলাই রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ৯০০ টাকা, যা বাড়তে বাড়তে মঙ্গলবার ১৫৪৮ টাকা ৭০ পয়সায় উঠেছে।

অর্থাৎ, ১ মাসে দাম বেড়েছে ৬৪৮ টাকা ৭০ পয়সা বা ৭২ দশমিক ০৮ শতাংশ।

দুলা মিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেড

দুলা মিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ারের দাম মাত্র এক মাসে প্রায় ৭৮ শতাংশ বেড়েছে।

ডিএসইর প্রশ্নের জবাবে এই কোম্পানিও বলেছে, তাদের কাছে অপ্রকাশিত এমন কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই, যার প্রভাবে শেয়ারের দাম বাড়তে পারে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়,৩ অগাস্ট দুলা মিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ারের দাম ছিল ৪৮ টাকা ১০ পয়সা, যা বাড়তে বাড়তে মঙ্গলবার ৮৫ টাকা ৮০ পয়সায় উঠেছে।

অর্থাৎ, এক মাসে দাম বেড়েছে ৩৭ টাকা ৭০ পয়সা বা ৭৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

বাস্তব কারণ ছাড়া শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়লে তা স্থায়ী হয় না। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা বেশি দামে শেয়ার কিনে পরে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ ধরনের ঝুঁকি দেখলে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ কোম্পানির কাছে তার ব্যাখ্যা চায়।