গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুঁজিবাজারে থেকে আইপিওরে মাধ্যমে টাকা তোলার অনুমোদন পাওয়া এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার সোমবারই প্রথম বাজারে লেনদেন হয়।
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স ১০ টাকা ইস্যু মূল্যে আইপিওতে শেয়ার বিক্রি করেছিল। অর্থাৎ, যারা লটারিতে জিতে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার পেয়েছেন, তাদের খরচ পরেছে প্রতি শেয়ারে ১০ টাকা।
আর এই ১০ টাকার শেয়ার প্রথম লেনদেনে বিনিয়োগকারীরা ১৫ টাকায় বিক্রি করতে পেরেছেন। অর্থাৎ, প্রথম দিনে ৫০ শতাংশ বেড়েছে এই শেয়ারের দাম।
সোমবার মোট ৫১ বারে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ৮৭ হাজার ৭৬৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। টাকার অংকে যার দাম হয় ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকার মত।
সোমবার এ কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৫ টাকা। অর্থাৎ সমস্ত লেনদেন ১৫ টাকতেই হয়েছে।
বর্তমান নিয়মে তালিকাভুক্তির পর প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনের লেনদেনে নতুন কোম্পানির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশই বাড়তে পারে।
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ২০২০ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপিল-জুন) প্রতি শেয়ারে আইপিও পরবর্তী মুনাফা দেখিয়েছে ২৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে প্রতি শেয়ারে তাদের মুনাফা হয়েছিল ২০ পয়সা।
ছয় (জানুয়ারি-জুন) মাসে তাদের প্রতি শেয়ারে আইপিও পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৫০ পয়সা, যা আগে ৭৪ পয়সা ছিল।
২০১৮ সালে এ কোম্পানি মোট মুনাফা করেছে ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ৬ কোটি ৫১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৬৪টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৬ শতাংশ, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৪ শতাংশ শেয়ার আছে।
কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৬৫ কোটি ২০ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ৩৪ কোটি ১১ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা তুলেছে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স। বর্তমানে এ শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ‘এন’ ক্যাটাগরিতে।