বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক বিনিময় নীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
এর আগে বিদেশি ও প্রবাসীরা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারতেন। বেমেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়। এসব মিউচ্যুয়াল ফান্ড সরাসরি সম্পদ ব্যবস্থাপকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেমেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয় না। এই মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো সরাসরি সম্পদ ব্যবস্থাপকদের কাছ থেকে কিনতে হয়। তবে বেমেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ হলে সেটা পুঁজিবাজারের জন্য ভালো হবে।
“কারণ বেমেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭০ শতাংশ টাকা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতেই বিনিয়োগ হয়। এর ফলে একটি ভালো দিক হচ্ছে, প্রচুর ডলার বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে আসতে পারে।”
এই অনুমতির জন্য উদ্যোগ নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদেরকে অনেকেই বাইরে থেকে বলছিলেন যে, তারা বেমেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চান। আইনে এই সুয়োগ না থাকায় টাকাগুলো আসছিল না। সে কারণে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে এ্ বিষয়ে অনুরোধ করি। তারা বিষয়টি দেখে সুযোগটি করে দিয়েছে। এখন আশা করি, এই টাকাগুলো আসবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক বিনিময় নীতি বিভাগের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিদেশি এবং প্রবাসীদের টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে (নন-রেসিডেন্ট ইনভেস্টার্স টাকা একাউন্টস-এনআইটিএ) বাংলাদেশ সিকি্উরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনুমোদিত বেমেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে হবে।
বিদেশি ও প্রবাসীদের কাছে বেমেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিক্রির ১৪ দিনের মধ্যে সেটা বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক বিনিময় বিভাগে জানাতে হবে। সব ধরনের কর কাটার পরে লভ্যাংশের টাকা এনআইটিএ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা যাবে। বেমেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিক্রির টাকাও এই অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা যাবে।
প্রবাসীদের টাকা তাদের অনুমতিক্রমে তাদের বাংলাদেশে নির্ধারিত প্রতিনিধির কাছে দেওয়া যাবে।