দেশের একমাত্র সরকারি পাইপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা নিট মুনাফা করেছে লাভ করেছে।
চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের এই তথ্য কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. জিয়াউল হক জানিয়েছেন।
এর আগে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর থেকে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর পর্যন্ত টানা তিন বছর লাভের মুখ দেখেনি ন্যাশনাল টিউব। এই তিন অর্থবছরে যথাক্রমে প্রায় ৭ কোটি ৫০ লাখ, ৫ কোটি ৯০ লাখ ও ৫০ লাখ টাকা লোকসান করেছে কোম্পানিটি।
তবে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে লাভের পথে রয়েছে ন্যাশনাল টিউবস। দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ছয় মাসে কোম্পানিটি ৮৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নিট মুনাফা করেছে। তৃতীয় প্রান্তিকেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে ২০১৪-২০১৫ ও ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে যথাক্রমে পাঁচ কোটি ৯১ লাখ ৮৪ হাজার ও ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা মুনাফা করেছিল।
ন্যাশনাল টিউবস আন্তর্জাতিক মানের এমএস, জিআই ও এপিআই পাইপ উৎপাদন করে। হাউজিং এস্টেট ও সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য আন্তর্জতিক মানের এমএস ও জিআই পাইপও তৈরি করে। এছাড়া কোম্পানিটি আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট (এপিআই) লাইসেন্সের আওতায় তেল ও গ্যাস সঞ্চালন এবং জাহাজের পাইপিংয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য এপিআই গ্রেডের স্টিল পাইপ উৎপাদন করে আসছে। ন্যাশনাল টিউবসের উৎপাদিত পাইপ ব্যবহার হচ্ছে মেট্রোরেল প্রকল্পেও।
কোম্পানির এমডি জিয়াউল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পণ্য বহুমূখীকরণের অংশ হিসেবে এনটিএল সম্প্রতি স্টিল শেড, বিলবোর্ড ও স্টিল স্ট্রাকচার ভবন নির্মাণ করছে। কারখানায় স্থাপন করা হয়েছে উন্নতমানের গ্যালভানাইজিং প্লান্ট। এতে যে কোনো ধরনের লৌহজাত পণ্য সুলভমূল্যে গ্যালভানাইজ করা যাবে। বিক্রয় বৃদ্ধি ও দ্রুত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কারখানায় ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে এবং নেওয়া হচ্ছে অনলাইন পার্সেল অর্ডার। এসব উদ্যোগের ফলে প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে লাভের পথে ফিরে আসছে।
“পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এই কারখানা পণ্য বৈচিত্র্যকরণ ও গুণগতমানের পণ্য উৎপাদনের পথে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৯৮৯ সাল থেকে তালিকাভুক্ত এ ক্যাটাগরির কোম্পানির ন্যাশনাল টিউবসের ৫১ শতাংশ শেয়ার সরকারের হাতে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪১ দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৭ দশমকি ১২ শতাংশ শেয়ার এবং দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার আছে পরিচালকদের হাতে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ১০৩ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। বাজার মূলধন রয়েছে ৩৫৯ কোটি ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা।