লোকসানে এম আই সিমেন্ট

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি এম আই সিমেন্ট (ক্রাউন সিমেন্ট) বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Jan 2020, 05:36 PM
Updated : 29 Jan 2020, 07:33 PM

অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৮০ পয়সা লোকসান দিয়েছে। আগের বছর এ সময় মুনাফা ছিল ৩১ পয়সা। সে হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ২ টাকা ১১ পয়সা বা ৬৮০ শতাংশ কমেছে।

তার আগের প্রান্তিক মিলিয়ে ছয় মাসে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৮৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় আয় ছিল ৭৮ পয়সা।

ব্যাংক ঋণের সুদ বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি, আমানতের সুদ থেকে প্রাপ্ত মুনাফা কমে যাওয়া এবং কর বেড়ে যাওয়াকে লোকসানের কারণ হিসেবে দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এই ব্যাখ্যা দিয়েছে এম আই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেড।

এম আই সিমেন্টের আর্থিক বছর হচ্ছে জুলাই-জুন।

মুনাফা থেকে হঠাৎ করে লোকসানে যাওয়ার ব্যাখ্যায় প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে এম আই সিমেন্টের মোট মুনাফা আগের বছর এই সময়ের তুলনায় ৩৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা কমেছে।

এম আই সিমেন্ট বলেছে, আগের থেকে এবছর তাদের ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা বেশি সুদ দিতে হয়েছে।

আবার বিভিন্ন বিনিয়োগ থেকে তারা এবার আগের বছরের চেয়ে ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা কম সুদ বা মুনাফা পেয়েছে।

সেই সাথে এবার তাদের আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় ২২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বেশি কর দিতে হয়েছে।

জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ঋণাত্বক; ৯ টাকা ৯৯ পয়সা। যা আগের বছর এই সময় ছিল ২ টাকা ৩৪ পয়সা।

ঋণাত্বক অর্থপ্রবাহ তখনই হয়ে থাকে যখন কোনো প্রতিষ্ঠানের যে নগদ টাকা আয় হয়; তার চেয়ে বেশি টাকা ঋণ শোধ করতে গিয়ে ব্যয় করে।   

শেয়ার প্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ ধনাত্বক থেকে ঋণাত্বক হয়ে যাওয়ার কারনও জানিয়েছে এম আই সিমেন্ট।

প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এবার তাদের ১৮২ কোটি টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে।

“বাজারে পণ্যের চাহিদা কম থাকায় সিমেন্টের দাম কমেছে। তাই অনেক মাল অবিক্রিত রয়ে গেছে। কাঁচামালের দাম অগের তুলনায় বেড়েছে। আবার সরবরাহকারীদের আগাম টাকা দিতে হয়েছে।”

“বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেড়ে যাওয়ায় বিক্রেতাদের অনেক ঋণে পণ্য সরবরাহ করতে হয়েছে। সাথে আবার সুদের হার কমে যাওয়ায় নগদ অর্থপ্রবাহ কমে গেছে।”

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৩৬ পয়সা। আগের বছর ছিল ৪৮ টাকা ২২ পয়সা।