এক মাসে ৫০% দরবৃদ্ধি জেএমআই সিরিঞ্জের

মন্দা চলছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে। কিন্তু একটি কোম্পানির দর বাড়ছে হু হু করে। গত এক মাসেরও কম সময়ে প্রতিষ্ঠানটির দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2019, 06:05 PM
Updated : 25 June 2019, 06:11 PM

টানা মূল্যবৃদ্ধির কারণে গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মার মতো মৌলভিত্তির কোম্পানির বাজারমূল্যকে ছাড়িয়ে গেছে কোম্পানির শেয়ারের দর। মঙ্গলবারও দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল কোম্পানিটি।

অস্বাভাবিক মূলবৃদ্ধি পাওয়া প্রতিষ্ঠানটির নাম হচ্ছে জেএমআই সিরিঞ্জ। ঔষধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানির পুরো নাম জেএমআই সিরিঞ্জ এন্ড মেডিকেল ডিভাইস লিমিটেড।

বাংলাদেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, ২৭ মে শেয়ারটির দাম ছিল ৩২০ টাকা ৯০ পয়সা। আর ২৫ জুন মঙ্গলবার শেয়ারটির দাম হয়েছে ৪৮২ টাকা ৫০ পয়সা।

অর্থাত্ এক মাসের কম সময়ে শেয়ারটির দাম বেড়েছে ১৬১ টাকা ৬ পয়সা বা ৫০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। কিন্তু এই এক মাসে ডিএসই সূচক বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ।    

গত ২৯ মে বিএসইসির কমিশন সভায় জেএমআই সিরিঞ্জের ১ কোটি ১১ লাখ শেয়ার জাপানি কোম্পানি নিপ্রো কর্পোরেশনের কাছে বিক্রি করার আবেদন অনুমোদন দেয়। তারপর  থেকেই শেয়ারটির দর বাড়ছে।

মঙ্গলবার জেএমআই সিরিঞ্জের সমাপনী মূল্য ছিল ৪৮২ টাকা ৫০ পয়সা। সে হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির পিই হয় ৭৩ দশমিক ৭০।

পিই দিয়ে বোঝা যায় প্রতিষ্ঠানটির ১ টাকা মুনাফার জন্য বিনিয়োগকারীরা কত টাকা বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।

পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা বলেন, পিই সাধারণত ১৭ হওয়া ভাল। তবে যেসব কোম্পানির সামনে ভাল করার সম্ভাবনা আছে তাদের পিই ৪০ এর মত হতে পারে।

কোন কোম্পানির শেয়ারের মূল্য সঠিক আছে কিনা সেটা দেখতে প্রতিষ্ঠানটি যে খাতে অর্ন্তভুক্ত আছে সে খাতের সাথে পিই মিলিয়ে দেখা যেতে পারে ।            

ডিএসইতে ঔষুধ ও রসায়ন খাতের বর্তমান পিই ১৮ দশমিক ৬৪। স্কয়ার ফার্মার মত প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পিই ১৭ এর ঘরে।

বর্তমানে কোম্পানিটির আরএসআই (রিলেটিভ স্ট্রেংথ ডিসটেন্স) হচ্ছে ৭৪ এর ঘরে।এর অর্থ হচ্ছে এই মুহুর্তে কোম্পানিটির শেয়ার বেশি দামে বেশি বেশি কেনা হচ্ছ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজার সংশ্লিষ্ট অনেকেই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, কয়েকজন মিলে কারসাজি করে জেএমআই শেয়ারের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর আগেও এরা খারাপ শেয়ারের দাম কারসাজি করে বাড়িয়ে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এদের কারো কারো বিরুদ্ধে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসি শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিয়েছে বলে জানান ঐ বাজার সংশ্লিষ্টরা।

১৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে বাজেট ষোষণার পর থেকেই দরপতনের ধারায় রয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। সেখানে জেএমআই সিরিঞ্জের দাম বেড়েই চলেছে।