রোববার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরে।
ডিএসইর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, নির্দিষ্ট কর প্রদানসাপেক্ষে ফ্ল্যাট, জমি কেনা এবং ইকোনমিক জোনে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।
“এতে অর্থ পাচার রোধ হবে এবং বিনিয়োগ বাড়বে। আমরা পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত বন্ডেও অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ চায়। এতে পুঁজিবাজার উপকৃত হবে এবং বিনিয়োগ বাড়বে।”
তবে কোম্পানির বোনাস লভ্যাংশ বিতরণ ও অতিরিক্ত রিজার্ভের উপর ১৫ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব নিয়ে ডিএসইর পরিচালকরা ভিন্নমত প্রকাশ করলে ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেম বলেন, “বাজেটে যে প্রস্তাব করা হয়েছে, আমরা তার পক্ষে।”
সার্বিকভাবে বাজেটকে স্বাগত জানালেও স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য পূর্ণ কর অব্যাহতি, এসএমই মার্কেটের লেনদেনের ওপর উৎসে কর অব্যাহতি ও স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেক হোল্ডারদের কাছ থেকে উৎসে কর সংগ্রহের হার হ্রাস করার দাবি জানিয়েছে ডিএসই।
ডিএসইর প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান, শরীফ আতিউর রহমান ও মনোয়ারা হাকিম আলী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঢাকায় সিএসইর প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম ফারুক বলেন, “বাজেটের জন্য সিএসই যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছিল তার মধ্যে কোনোটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। প্রস্তাবগুলো পুনর্বিবেচনার জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি।”
সিএসই তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের বিদ্যমান কর হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা, নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয় তিন বছর করমুক্ত রাখা, করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ১ লাখ টাকায় উন্নীত করার দাবি জানায়।