নতুন বাজেটে ডিএসই সিএসই বিএমবিএ’র চাওয়া

আগামী ১৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2019, 05:48 PM
Updated : 2 April 2019, 05:48 PM

এটি হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয় মেয়াদের সরকারের প্রথম বাজেট। এই বাজেটকে সামনে রেখে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশের দুটি পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) বেশ কিছু প্রস্তাব করেছে।

শতভাগ কর রেয়াত সুবিধা চেয়েছে ডিএসই। মার্চেন্ট ব্যাংকের কর হার কমানোর দাবি জানিয়েছে বিএমবিএ। আর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করের হার কমানোর দাবি করেছে সিএসই।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সঙ্গে বৈঠক করে এ সব দাবি করেছেন ডিএসই, সিএসই এবং বিএমবিএ প্রতিনিধিরা।

ডিএসই

 মোশাররফ হোসেন ভূইয়া, ডিএসইর নেতৃবৃন্দ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেকে (এনবিআর) আসন্ন বাজেট উপলক্ষ্যে এ প্রস্তাব দিয়েছেন।

এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মতিন পাটোয়ারিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের (ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথক করা) পর সরকার ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ৫ বছর ডিএসইকে বিশেষ কর ছাড় সুবিধা দেয়। ক্রমহ্রাসমান হারে দেয়া এই কর ছাড়ার কারণে ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ডিএসইকে কোন কর দিতে হয়নি।

এরপর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬০ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪০ শতাংশ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২০ শতাংশ কর ছাড় পায় ডিএসই।

মঙ্গলবার এনবিআর চেয়ারম্যানকে এই তিন অর্থবছরে শতভাগ কর মওকুফ সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করেছে ডিএসই।

পুঁজিবাজারের স্বার্থে আরও কয়েকটি প্রস্তাব করে ডিএসই। সেগুলো হচ্ছে লভ্যাংশ আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা, স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে উৎসে আয়কর হার ০.০৫ শতাংশ থেকে পূর্বের ০.০১৫ শতাংশ নির্ধারন, আইপিওতে ২০ শতাংশ শেয়ার ইস্যু করা কোম্পানিকে ১ বছরের পরিবর্তে ৩ বছর ১০ শতাংশ হারে কর রেয়াত সুবিধা দিতে বলেছে ডিএসই।

বৈঠকে ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মতিন পাটোয়ারিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সিএসই

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করের হার ৫ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছে সিএসই। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর তিন বছর করমুক্ত রাখতে বলেছে সিএসই। করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ১ লাখ টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করেত প্রথম তিন বছর ‘শূণ্য’ এবং পরের বছরগুলো ১০ শতাংশ হারে কর হার নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে সিএসই।

এছাড়া কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য সিএসইকে কর অব্যাহতির সুযোগ এবং স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে উৎসে আয়কর হার ০.০৫ শতাংশ থেকে পূর্বের ০.০১৫ শতাংশ নির্ধারন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিএমবিএ

এনবিআরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় মার্চেন্ট ব্যাংকের কর হার ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন বিএমবিএ নেতারা।

এছাড়া লভ্যাংশ আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে মূলধনী লাভের উপরে ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ কর হার এবং কমপক্ষে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানিকে ১০ শতাংশ কর রেয়াত সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।