ছয় মাসের সর্বনিম্ন সূচক ডিএসইতে

টানা দরপতনের ফলে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ছয় মাস আগের অবস্থানে নেমেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2018, 09:58 AM
Updated : 25 Feb 2018, 09:58 AM

রোববার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৭৫ পয়েন্ট বা এক দশমিক ২৬ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৮৩২ পয়েন্টে নেমেছে। এর আগে ২০১৭ সালে ২০ অগাস্ট ডিএসইএক্স ছিল ৫ হাজার ৮১৯ পয়েন্ট।    

এদি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৪৬ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৩৬ শতাংশ কমে ১৮ হাজার ০০৪ পয়েন্টে নেমেছে।

গত ছয়দিন ধরে টানা পতনের ধারায় রয়েছে ডিএসইর প্রধান সূচক। ছয় দিনে ডিএসইএক্স কমেছে ২৭০ পয়েন্ট বা চার দশমিক ৪২ শতাংশ।

রোববার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমেছে ২৪৩টির, বেড়েছে ৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দাম।   

সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২২৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমেছে ১৭০টির, বেড়েছে ৩৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির দাম।

মাসখানেক ধরেই মুদ্রানীতি, ব্যাংকের ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) কমানো, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে বাজারে অস্থিরতা চলছিল।

এরপর সম্প্রতি যোগ হয় ডিএসইর কৌশলগত অংশীদার নেওয়ার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে টানাপড়েন।

চীনের শেনচেন ও সাংহাই স্টক স্টক এক্সচেঞ্জের সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম ডিএসইর অংশীদার হতে যাচ্ছে এমন খবরের মধ্যে ১১ ফেব্রুয়ারি এসইএক্স বেড়ে যায় ১২৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৫ শতাংশ, যা ২১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এরপর চীনা কনসোর্টিয়ামের এই দরপ্রস্তাব নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির আপত্তিসহ এই প্রস্তাবের বিষয়ে খবর গণমাধ্যমে আসতে থাকার মধ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বড় দরপতন শুরু হয় ডিএসইতে।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার চীনের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে কৌশলগত অংশীদার করার অনুমতি চেয়ে বিএসইসিতে আবেদন করেছে ডিএসই।

গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৪৩ পয়েন্ট বা দুই দশমিক ৪০ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৫৯০৭ পয়েন্টে।

এরপর বড় দরপতন দিয়ে শুরু হল নতুন সপ্তাহের প্রধান দিন।

এদিকে বড় মূলধনের শেয়ারগুলোর দরপতন সূচকে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে রয়েছে- স্কয়ার ফার্মা, ইউনিক হোটেল, ইফাড অটোজ, বেক্সিমকো ফার্মা ও এসিআই।

দরবৃদ্ধির শীর্ষে বেশিরভাগই স্বল্প  ও দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ার। এরমধ্যে রয়েছে- কে অ্যান্ড কিউ, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, মেঘনা পেট, রহিমা ফুড ও বঙ্গজ।

দর হারানোর শীর্ষে রয়েছে- ডাচবাংলা ব্যাংক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ও আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।