অধিকাংশ শেয়ারের দর বাড়লেও মোট লেনদেন হয়েছে আগের দিনের চেয়ে কম।
Published : 29 Oct 2024, 06:27 PM
একটানা চার দিন দরপতনের পর সূচকে বড় উত্থান দেখল ঢাকার পুঁজিবাজার, বাড়ল বেশিরভাগ শেয়ারের দাম।
মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এক লাফে বেড়েছে ১১৯ পয়েন্ট, তাতে সূচক আবার ৫ হাজার পয়েন্টের ঘর ছাড়িয়ে গেছে।
চলতি সপ্তাহে প্রথম দিন ১৪৯ পয়েন্ট হারানোর পর সোমবারও সূচক পড়েছিল ৬৬ পয়েন্ট। টানা এ পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স নেমে গিয়েছিল ৪৮৯৮ পয়েন্টে, যা চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
নেতিবাচক ধারা কাটিয়ে মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শেষ হয়েছে সূচকের ঘরে ৫ হাজার ১৭ পয়েন্ট নিয়ে।
এ বাজারে হাতবদল হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৩১২টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে, ৫৭টি কমেছে এবং ২৫টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
বেশিরভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেলেও লেনদেন আগের দিনের চেয়ে সামান্য কমে হয়েছে ৩৪৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের দিন ৩৫৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।
এদিন সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ব্যাংক, বীমা, প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতের শেয়ারের। সে কারণেই সূচক ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে বড় লাফে।
সেই সঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ড, জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও আইটিসহ প্রায় সব খাতের শেয়ারের দর বেড়েছে। একদিনেই বাজার মূলধন ফিরেছে আট হাজার কোটি টাকায়।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা ব্যাংক খাতে ৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা দিনের মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
দিনের লেনদেনে ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ অবদান রেখেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বস্ত্রখাতের অবদান ছিল ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় ডিএসইতে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি মতিন স্পিনিং।
বিনিয়োগকারীদের সবশেষ হিসাব বছরের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করায় এদিন এ কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধিতে কোনো সীমা ছিল না।
এতে একদিনেই শেয়ারটির দর ২৩ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়ে ৪৮ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বিডিকম অনলাইনের শেয়ার দর বেড়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা এ কোম্পানির ক্ষেত্রেও দর বৃদ্ধির কোনো লাগাম ছিল না।
একইভাবে লভ্যাংশ ঘোষণা করায় ১০ শতাংশ বা সার্কিট ব্রেকারের উপরে শেয়ার দর বেড়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, এসিআই লিমিটেড ও মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং মিলস এর।
প্রায় ১০ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে বিএসইসি, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, বিডি অটোকারস ও জেমিনি সি ফুড এর।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে হামিদ ফেব্রিক্স। বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ায় আগের দিনের চেয়ে ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ দর কমেছে এ কোম্পানির শেয়ারের।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ায় ১২ শতাংশের উপরে দর হারিয়েছে বসুন্ধরা পেপার মিলস ও মেঘনা সিমেন্ট।