প্রথম ঘণ্টায় সূচকে আগের দিনের চেয়ে যোগ হয়েছিল ৬৪ পয়েন্ট; আর দিন শেষে সূচক কমেছে ৪৯ পয়েন্টের বেশি।
Published : 08 Sep 2024, 06:44 PM
আগের চার দিনের টানা পতনের মধ্যে সপ্তাহের শুরুটাও হয়েছে বড় পতন দিয়ে। দিনের শুরুতে সূচক ভালো হওয়ার ইঙ্গিত থাকলেও বেশির ভাগের দরপতনের তা আর হয়ে ওঠেনি; দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৪৯ পয়েন্টের বেশি।
এতে সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স নেমেছে ৫ হাজার ৬৭৯ পয়েন্টে। সূচকের বড় পতনের মধ্যেও এদিন লেনদেন সামান্য বেড়ে হয়েছে ৬৭৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের দিন যা ছিল ৬৭৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এদিন সকালে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থানে শেয়ার হাতবদল হতে থাকে বেলা ১১টা পর্যন্ত। প্রথম ঘণ্টায় সূচকে আগের দিনের চেয়ে যোগ হয়েছিল ৬৪ পয়েন্ট অর্থাৎ এসময়ে সূচক ছিল ৫ হাজার ৭৯২ পয়েন্টে।
এরপর সময় গড়ানোর সঙ্গে বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে। শেষ বেলা পর্যন্ত ধীরে ধীরে দর সংশোধন হতে থাকলে সুচক যতটা বেড়েছিল সেটির সবটা হারিয়ে আগের দিনের চেয়ে কমে যায় ৪৯ পয়েন্ট। এতে টানা পাঁচ দিনই কমল ডিএসইর প্রধান সূচক।
দিন শেষে ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে দর হারায় ২৮৯টির, দর বাড়ে ৬৪টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টির।
তবে পাঁচ দিন ধরে সূচক কমলেও লেনদেনের পরিমাণ ৭০০ কোটি টাকার আশপাশে থাকছে। বিনিয়োগকারীদের কেউ কেউ বলছেন, ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কেউ কেউ নিজেদের পোর্টফলিও বদলাতে শুরু করেছেন। এর প্রভাব দেখে গেছে লেনদেনে।
দিন শেষে একক খাত হিসেবে মোট লেনদেনে সবচেয়ে বেশি ১৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ অবদান রাখে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এরপরই ব্যাংক খাতের অবদান ছিল ১৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের অবদান ছিল ১০ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
ডিএসইর প্রধান সূচকের সঙ্গে শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস আগের দিনের চেয়ে ৭ পয়েন্ট কমে হয়েছে ১ হাজার ২২১ পয়েন্ট। আর ডিএস৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট হারিয়ে দিন শেষ করেছে ২ হাজার ১০০ পয়েন্টে।
পতনের দিনেও একক কোম্পানি হিসেবে ডিএসইতে শেয়ারদর বাড়ার শীর্ষে ছিল সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক। ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ দর বাড়ে শেয়ারটির। এরপর ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ দর বেড়েছে লিব্রা ইনফিউশনের।
অন্যদিকে দর হারানোর সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশের কাছাকাছি শেয়ারদর কমে শীর্ষে ছিল রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এরপরই রয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন ও সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড।