আগের দিনের তুলনায় সূচক কমেছে ৭ পয়েন্ট; লেনদেন কমেছে ৮৬ কোটি টাকার মত।
Published : 01 Dec 2024, 05:53 PM
সপ্তাহের প্রথম দিন সূচকের পাশপাশি লেনদেনও কমেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)।
রোববার দেশের প্রধান এ পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমেছে; আর লেনদেন কমেছে ৮৬ কোটি টাকার মত।
উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে দিন শেষে প্রধান সূচক দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৮৫ পয়েন্ট। যদিও লেনদেন শুরু হয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়। কিন্তু বেলা ১১টার দিকে সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ১৬৭ পয়েন্টে।
এরপর সূচক বাড়তে থাকে। বেলা ১২টার দিকে সূচক দাঁড়ায় ৫ হাজার ২০৩ পয়েন্ট। কিন্তু এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থাকেনি। আগের দিনের চেয়ে ৭ পয়েন্ট হারিয়ে লেনদেন শেষ হয়। আর আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমে দাঁড়ায় ৩৮৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
গত বৃহস্পতিবার এ বাজারে লেনদেন ছিল ৪৭৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। বুধবারও লেনদেন ৪০০ কোটি টাকার ওপরে ছিল।
মূলত বীমা খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দরে পতন এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের মিশ্র ধারায় সূচক কমেছে ডিএসইতে।
রোববার দর বৃদ্ধির চেয়ে দর হারানো কোম্পানির সংখ্যা ছিল বেশি। ৩৯৫ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৮টির, কমেছে ১৭৫টির এবং ৭২টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
গত ২০ অগাস্টের পর থেকে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাওয়া ডিএসই নভেম্বর শেষেও খুব একটা ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি। মাঝে তারল্য খরায় লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচেও নেমেছিল।
গত বৃহস্পতিবার ছিল নভেম্বর মাসের শেষ লেনদেন। ৫ হাজার ১৯৯ পয়েন্ট দিয়ে শুরু হয়ে নভেম্বের শেষে মূল্যসূচক শেষ হয় ৫ হাজার ১৯২ পয়েন্টে। অবশ্য গত ৫ নভেম্বর ডিএসই সূচক সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে উঠেছিল।
গত মাসে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৯৭৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সেই ধারা নিয়ে শুরু হল বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর।
রোবাবর সর্বোচ্চ ৬১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার লেনদেন হয় ব্যাংক খাতে, যা মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এর পর ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ খাতে লেনদেন হয় ৫০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৩ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে লেনদেন ছিল ১০ শতাংশের বেশি।
দিন শেষে ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় ডিএসইতে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে ছিল প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, মুন্নু ফেব্রিক্স, এমারেল্ড ওয়েল, দেশ বন্ধু পলিমার ও ড্রাগন সোয়েটার।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, নর্দান ইন্স্যুরেন্স ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স।