কাসেমিরো দলে থাকা মানে ১২ জন নিয়ে খেলা- ২০১৮ সালে শিষ্যর খেলায় মুগ্ধ হয়ে এমনটা বলেছিলেন ব্রাজিলের প্রধান কোচ তিতে। গত চার বছর ধরে কোচের কথা বারবার প্রমাণ করে চলেছেন ৩০ বছর বয়সী এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। সবশেষ উদাহরণ দেখিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচে।
দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ সোমবার কোনোভাবেই সুইস রক্ষণ ভাঙতে পারছিল না ব্রাজিল। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের মাত্র ৭ মিনিট বাকি থাকতে দর্শনীয় এক গোলে দলকে এগিয়ে দেন কাসেমিরো। বিশ্বকাপে তার প্রথম গোলেই পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ভিনিসিউস জুনিয়রের কাছ থেকে বল পেয়ে জোরাল শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন কাসেমিরো। রক্ষণ সামলাতে সিদ্ধহস্ত এই মিডফিল্ডারের গোলে এক ম্যাচ আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে ব্রাজিলের দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকেট।
ম্যাচ শেষে ফিফা প্লাসে কাসেমিরোর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ব্রাজিলের ডিফেন্ডার আলেক্স তেলেস।
“তিনি আমাদের মূল খেলোয়ারদের একজন। বল পায়ে দলে ভারসাম্য নিয়ে আসেন। আমার মতে, প্রথম ম্যাচে তিনি দারুণ খেলেছেন। আর আজকের (সোমবার) মতো ম্যাচ প্রমাণ করে তিনি কোন মাপের খেলোয়াড়। যিনি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে অনেক (৫টি) চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। তাকে দলে পাওয়া আমাদের জন্য খুব ভালো।”
একই সুরে কাসেমিরো বন্দনা করেছেন আরেক ডিফেন্ডার এদের মিলিতাও।
“তিনি আরও একটি দুর্দান্ত ম্যাচ খেললেন, যেমনটা সবসময় করেন। মাঠে বরাবরের মতোই দৃঢ় ছিলেন এবং গোলটি তার প্রাপ্য।”
২৫ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ব্রুনো গিমারেস জানিয়েছেন কাসেমিরোর সঙ্গে খেলতে পারার অনুভূতি।
“তিনি অসাধারণ। দুর্দান্ত একজন খেলোয়াড়। তার সঙ্গে খেলতে পারা আনন্দের।”
লুসাইল স্টেডিয়ামে শুক্রবার গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ রাত ১টায়।