এই তারকার প্রতি বর্ণবাদী আচরণ সীমা ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র।
Published : 22 Mar 2024, 04:02 PM
সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি একের পর এক বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়ার জন্য বারবার খবরের শিরোনাম হচ্ছেন রেয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিউস জুনিয়র। ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়রের মতে, এই ফরোয়ার্ডের প্রতি বর্ণবাদী আক্রমণ সীমা ছাড়িয়ে গেছে। জাতীয় দলের সঙ্গে থাকাকালীন ভিনিসিউস আবার বর্ণবাদের শিকার হলে দলকে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে শনিবার লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। দরিভাল দায়িত্ব নেওয়ার পর দলটির প্রথম ম্যাচ এটি। এরপর মঙ্গলবার রেয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে স্পেনের বিপক্ষে খেলবে পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা। স্পেনে বর্ণবাদ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ম্যাচটি আয়োজন করেছে দুই দেশের ফুটবল ফেডারেশন।
পাঁচ বছর আগে রেয়ালে যোগ দেওয়ার পর থেকে স্পেনে অনেকবার প্রতিপক্ষের সমর্থকদের বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন ভিনিসিউস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘দা গার্ডিয়ান’কে দরিভাল বললেন, এসব ঘটনা কোনোভাবেই মানা যায় না।
“এই ধরনের মুহূর্তে আমাদের সব তথ্যের বিশ্লেষণ ও এর ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। তবে এই ধরনের ঘটনা আবার ঘটলে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ভিনিসিউসের এখনও বয়স কম। সে এখনও পড়াশোনা শেষ করেনি। তার সঙ্গে এই ধরনের আচরণ মানা যায় না।”
আগে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে গিয়ে বর্ণবাদের শিকার তো হয়েছেনই, সাম্প্রতিক সময়ে রেয়াল খেলছে না এমন ম্যাচেও ভিনিসিউসকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও নাপোলির বিপক্ষে ম্যাচে বার্সেলোনার সমর্থকরা ভিনিসিউসকে নিয়ে বর্ণবাদী স্লোগান দিয়েছে বলে স্প্যানিশ প্রসিকিউটরদের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে রেয়াল।
ওই সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা উয়েফার কাছে দাবি জানিয়েছেন ভিনিসিউস নিজেও।
এসব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অপরাধীদের শাস্তি চাইলেন ব্রাজিল কোচ।
“দুঃখজনকভাবে গোটা পৃথিবীতেই বর্ণবাদের ঘটনা ঘটছে। তাচ্ছিল্যের ব্যাপারটা এখনও রয়ে গেছে। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর হতে হবে। ভিনিসিউসের সঙ্গে যা ঘটে চলেছে, তা এরই মধ্যে সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এমনিতে স্পেনের মানুষ খুবই আন্তরিক, অপরকে সম্মান দেয় এবং সবচেয়ে বড় কথা, তারা শান্তিকামী মানুষ। কিছু বাজে লোকের কারণে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়াটা মানায় না।”
“পুলিশ চাইলে যারা এসব করে, তাদের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব। এটা অনেকটা আমাদের দেশের মতোই, যেখানে প্রচুর মানুষ প্রতিদিনই ভুগছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অকার্যকারিতা আর অদক্ষতার কারণে তারা নীরব থাকে।”