সালাহকে ‘দেখিয়ে দেওয়ার’ আনন্দ লভরেনের

দেইয়ান লভরেন মনে করেন, যোগ্যতা দিয়েই বিশ্ব সেরার মঞ্চে ভালো করছেন তারা।

আরও একবার শেষ আটে জায়গা করে নেওয়ার উচ্ছ্বাসে ভাসছেন দেইয়ান লভরেন। তার মতে, এতে অনেকটাই প্রমাণ হয়ে গেছে, গত আসরে তাদের ফাইনালে খেলা ভাগ্যক্রমে ঘটেনি। টানা দ্বিতীয়বার কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছে ‘জবাব’ দেওয়ার খুশিও সঙ্গী হয়েছে লভরেনদের।

রাশিয়া আসরে ক্রোয়েশিয়ার ফাইনালের পথ মোটেও সুগম ছিল না। টাইব্রেকারে ডেনমার্ক ও রাশিয়াকে হারানোর পর সেমি-ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে তারা হারায় সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। এরপর ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে যায় ৪-২ গোলে।

বিশ্ব সেরার মঞ্চে নকআউট পর্বে ক্রোয়েশির কষ্টার্জিত জয়ের ধারা এবারও বজায় রয়েছে। শেষ ষোলোয় গত সোমবার জাপানের বিপক্ষে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ সমতা থাকার পর টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে জিতেছে লুকা মদ্রিচের দল।

২০১৮ রিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার ফাইনালে খেলায় কেউ কেউ দেখেন ভাগ্যের ছোঁয়া। মজার ছলে মোহামেদ সালাহও তেমনটাই বলেছিলেন লভরেনকে। জাপান ম্যাচের পর লভরেন বললেন, হয়তো কঠিন করে ম্যাচ জেতাই তাদের নিয়তি।

“(ভাগ্যের জোরে জিতেছি?) কেন? কীভাবে? হয়তো এভাবেই লেখা আছে যে ক্রোয়েশিয়াকে এভাবে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ভুগতে হবে। কষ্ট ছাড়া কোনো প্রতিদান নেই। আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি যে, আমরা বিশ্বের সেরা আটের মধ্যে আছি, আর এটিও যে ২০১৮ ভাগ্যক্রমে ঘটেনি।”

“বিশেষ করে আমার বন্ধু সালাহ আমাকে বলেছিল, ‘পেনাল্টি, পেনাল্টি।’ আমি বলেছিলাম, ‘ঠিক আছে, আমি তোমাকে দেখিয়ে দেব।’ এটা দারুণ যে আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি আমরা আসলেই শক্তিশালী দল।”

আগামী শুক্রবার শেষ আটের লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার প্রতিপক্ষ রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।