পেনাল্টি থেকে আফিফের হ্যাটট্রিকে এশিয়ার সেরা কাতার

ঘরের মাঠে ফাইনালে অনায়াসে ৩-১ গোলে জিতল শিরোপাধারীরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2024, 05:27 PM
Updated : 10 Feb 2024, 05:27 PM

ফাইনালে এক, দুই করে তিনটি পেনাল্টি পেল কাতার! তিনটিকেই গোলে রূপ দিলেন আকরাম আফিফ। জর্ডানের রূপকথা থামিয়ে এশিয়ান ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটও ধরে রাখল তার দেশ।

দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে শনিবার ৩-১ গোলে জিতেছে কাতার।

আফিফ স্পট কিক থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে জর্ডানকে সমতায় ফেরান ইয়াজান আল নিয়ামাত। পরে আফিফের আরও দুই পেনাল্টি গোলে সাফল্যের গল্পে নতুন পাতা যোগ করে কাতার।

পঞ্চম দল হিসেবে এশিয়ান কাপে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হলো কাতার। এর আগে এই কৃতিত্ব আছে কেবল জাপান, সৌদি আরব, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ার।

দুইবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়াকে সেমি-ফাইনালে হারিয়ে আসা জর্ডান প্রথমার্ধে ছিল সাদামাটা। সপ্তম মিনিটে প্রথম আক্রমণটি শাণায় কাতার। আফিফের দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট ফেরান জর্ডান গোলরক্ষক আবু ইয়াজিদ। ষোড়শ মিনিটে ইয়াজান আল নিয়ামাতের দূরপাল্লার জোরাল শট সরাসরি যায় কাতার গোলরক্ষক মেশাল বারশামের কাছে।

২০তম মিনিটে আফিফকে বক্সে পেছন থেকে আব্দল্লাহ নাসিব ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন আফিফ। বলের লাইনে ঝাঁপালেও গতির সঙ্গে পেরে ওঠেননি গোলরক্ষক। এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে উদযাপন শুরু হয় লুসাইলের আঙিনায়।

৩২তম মিনিটে আফিফের কর্নারে লুকাস মেন্দেসের হেড গ্লাভসের ছোঁয়ায় ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দেন ইয়াজিদ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার ভালো সুযোগটি নষ্ট হয় জর্ডানের। আলি ওয়ানের আড়াআড়ি ক্রসে মৌসা তামারির প্লেসিং শট মোহাম্মদ ওয়াদের গায়ে লেগে ব্লকড হয়।

গোল শোধে দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া আক্রমণ শাণাতে থাকে জর্ডান। তবে বারশাম ছিলেন বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে। ৫৮তম মিনিটে কাছের পোস্টে নেওয়া এহসান হাদ্দাদের শট আটকানোর পরের মিনিটে ইয়াজান আল আরাবের অনেকটা লাফিয়ে নেওয়া বুলেট গতির সাইড ভলিও ফেরান এই গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই আলির ফ্লিক পোস্ট ঘেঁষে বাইরের জাল কাঁপায়।

কাতারের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৬৭তম মিনিটে সমতায় ফেরে জর্ডান। ডান দিক থেকে হাদ্দাদের বাড়ানো ক্রস প্রথম ছোঁয়ায় দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন আল নিয়ামাত। বারশামের কিছুই করার ছিল না।

জর্ডানের স্বস্তি উবে যায় ছয় মিনিট পরই। বক্সে মোহাম্মাদ ইসমাইলকে মাহমুদ আল মুরাদি ফাউল করলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ফের লক্ষ্যভেদ করেন আফিফ।

১৩ মিনিটের যোগ করা সময়ের শুরুতেই আফিফ আক্রমণে ওঠেন। বলে প্রথম স্পর্শ জোরে হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারান এই ফরোয়ার্ড। এক পর্যায়ে তার সাথে সংঘর্ষ হয় ছুটে আসা গোলরক্ষকের সাথে। অফসাইডের পতাকাও ওঠে।

কিন্তু কাতার ভিএআর চেকের আবেদন জানাতে থাকে। ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আরেকটি সফল স্পট কিকে হ্যাটট্রিক পূরণের সাথে কাতারের জয়ও একরকম নিশ্চিত করে দেন আফিফ।