আড়ালে থেকে নিজের কাজগুলো ঠিকঠাক করে যেতে চান সাইফুল বারী টিটু।
Published : 01 Apr 2024, 08:02 PM
টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদে আবেদন পড়েছিল একটিই। টেকনিক্যাল কমিটিও সুপারিশ করেছিল কদিন আগে। ফলে অনুমিতই ছিল সাইফুল বারী টিটুর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হওয়া। আনুষ্ঠানিকভাবে তাই নিশ্চিত করল বাফুফে।
এক বিবৃতি দিয়ে সোমবার টিটুকে এক বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পল থমাস স্মলি চলে যাওয়ার পর টিটুকে দিয়ে এই শুন্যস্থান পূরণ করল বাফুফে।
বাফুফেতে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদ সৃষ্ট হয় ২০০৮ সালে। ২০০৯ সালে সাবেক গোলরক্ষক শহিদুর রহমান চৌধুরী সান্টু প্রথম এই পদে বসেন। দেড় বছর দায়িত্ব পালন শেষে তিনি চলে গেলে বায়েজিদ জোবায়ের আলম নিপু আসেন।
২০১৬ সালে স্মলি পান এই দায়িত্ব। ২০১৯ সালে অক্টোবরে চলে যাওয়ার পর ২০২০ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ফেরেন এই ইংলিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি নানা বিষয়ে ফেডারেশনের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তিনি আবার চলে যাওয়ায় পদটি খালি ছিল। এবার সেই পদে আসীন হচ্ছেন টিটু।
ঘরোয়া ফুটবলে পরিচিত টিটুর এর আগে জাতীয় দলের পাশাপাশি দায়িত্বে ছিলেন মোহামেডান, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, চট্টগ্রাম আবাহনী, আবাহনী, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের।
সবশেষ বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ ছিলেন টিটু। তার অধীনে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৯ উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।
টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় টিটু জানালেন তার কর্ম পরিধি নিয়ে।
“বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদের কার্যক্রম বেশ বিস্তৃত। জাতীয় ও বয়সভিত্তিক দলগুলো নিয়ে পরিকল্পনা, ফান্ড আনা, কোচদের ট্রেনিং, ক্লাবগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখা থেকে শুরু করে ফুটবলের ব্র্যান্ডিং অনেক কাজ আমাকে করতে হবে। এছাড়া এলিট একাডেমির কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া, খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইন ঠিক রাখতে হবে। কাজগুলো চ্যালেঞ্জিং, চেষ্টা থাকবে সবকিছুর সমন্বয় করার।”
“বিশেষ করে ফুটবল একটা প্রোডাক্ট, যেটা বিক্রি করতে হয়। সেটা করতে হলে আমাদের ব্র্যান্ডিং করতে হবে। কাজটা কঠিন, কিন্তু কিভাবে এটাকে ব্র্যান্ডিং করে বিক্রি করা যাবে, অর্থের সংস্থান করা যাবে, সেগুলো নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে আমাকে। আমি চেষ্টা করে যাব, আড়ালে থেকে নিজের কাজগুলো ঠিকঠাক করে যেতে।”