সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক খেলোয়াড়ের চোটে বিপর্যস্ত চেলসি। এই তালিকায় আছেন রাহিম স্টার্লিং ও ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকও। খুব শীঘ্রই এই দুই খেলোয়াড়ের মাঠে ফেরার সম্ভাবনা দেখছেন না দলটির কোচ গ্রাহাম পটার।
বিশ্বকাপ বিরতির পর চেলসি দলে নিয়মিত খেলছিলেন পুলিসিক। তবে বিপত্তি বাধে ম্যানচেস্টার সিটির গত ৫ ডিসেম্বর চেলসির ১-০ গোলে হারের ম্যাচে। হাঁটুতে চোট পেয়ে ২২তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন যুক্তরাষ্ট্রের এই ফুটবলার। একই ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পান স্টার্লিং। এরপর থেকে থেকে মাঠের বাইরে আছেন তিনিও।
নিজেদের পরের ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগে আগামী বৃহস্পতিবার চেলসির প্রতিপক্ষ ফুলহ্যাম। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে পুলিসিক, স্টার্লিংসহ চোটে থাকা অন্যদের সবশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন পটার।
“ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক প্রস্তুত নয়, আমাদের মনে হচ্ছে (মাঠে ফেরা থেকে) সে কয়েক মাস দূরে আছে। রাহিম স্টার্লিংয়ের আশা করি এর চেয়ে কম সময় লাগবে। রিস জেমসও কাজে ফিরে এসেছে।”
“পিয়েরে-এমেরিক (অবামেয়াং) ভালো আছে এবং সে দলে থাকবে। রুবেন লোফ্টার-চিক অনুশীলনে ফিরেছে।”
এই মৌসুমে আক্রমণে চেলসির চিন্তা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারেন জোয়াও ফেলিক্স। আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে চলতি মৌসুমের বাকি অংশের জন্য ধারে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে দলে টেনেছে চেলসি।
পটারের বিশ্বাস, নতুন ক্লাবে খুব দ্রুতই মানিয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবেন ফেলিক্স।
“সে একজন শীর্ষ মানের খেলোয়াড়, আমরা জানি সে প্রতিভাবান, এতে কোনো সন্দেহ নেই। শারীরিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা জানি যে সে খেলার মধ্যেই আছে, সে ফিট। আপনি যখন এক দেশ থেকে অন্য দেশে যান তখন সবসময় কিছু বিষয় অজানা থাকে, কিন্তু সে একজন আত্মবিশ্বাসী খেলোয়াড় যে খেলায় নিজেকে মেলে ধরতে পারে।”
"আমাদের দলে যা আছে তাতে সে সুন্দরভাবে পরিপূরক হবে, আমি মনে করি সে আমাদের জন্য একটি বড় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।”
লিগে ১৭ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে আছে পটারের দল।