প্রশ্নের মুখে কমলাপুরের টার্ফ

অতিরিক্ত ব্যবহৃত এই টার্ফ নিয়ে অভিযোগ পাওয়া কথা জানালেন সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলালও।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2023, 04:11 PM
Updated : 7 Feb 2023, 04:11 PM

মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ খেলতে আসা দলগুলোর মধ্যে নেপাল ও ভুটানের কোচ কমলাপুরের টার্ফ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। অতিরিক্ত ব্যবহার হওয়া এই টার্ফের মান নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার কথা জানালেন দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলালও।

মঙ্গলবার ভুটানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতার ফাইনালে ওঠার পর বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও টার্ফের মান নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন। তিনিও ঠারেঠুরে বুঝিয়ে দিলেন টার্ফের বর্তমান অবস্থা।

“টার্ফ তো অনেক দিন ব্যবহার হয়েছে। প্রতিনিয়ত ব্যবহার হচ্ছে। আগে যে টেম্পার ছিল, অতিরিক্ত ব্যবহারে সেটা তো একটু ইয়ে হয়েছে…আমাদের ফিটনেস লেভেল ভালো তাই ইনজুরি কম হচ্ছে।”

বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচেও সফরকারী দলের খেলোয়াড়দের চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে দলটির পাঁচ জন খেলোয়াড় চোট পেয়েছেন, এর মধ্যে গোলরক্ষক নরবু জাঙ্গমো ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর আর মাঠেই নামতে পারেনি। নেপালের কুসুম খাটি পেয়েছেন চোট। কমলাপুরে এসে মঙ্গলবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হেলাল জানান দলগুলোর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার কথা।

“এই টার্ফ নিয়ে অভিযোগ আমরাও পেয়েছি। আমাদের কাছে দুই তিনটা টিম অভিযোগ করেছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে এই অভিযোগ জানিয়েছি। আগামীতে যে খেলা হবে সেখানে যেন এটাকে অ্যাভোয়েড করা হয় সেই বিষয়ে আমরা বলেছি।”

“এখানে ২৩ জন খেলোয়াড় নিয়ে দলগুলো খেলছে। ফলে দুই-তিন জন ইনজুরিতে পড়লে বদলি দিয়ে খেলা চালানো যাচ্ছে। তবে পরের যে টুর্নামেন্টগুলো হবে, সেখানে খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করা হবে ২০ জন। সেক্ষেত্রে খেলাটা বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।”

ভেন্যু নির্ধারণের দায়িত্ব বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। হেলাল জানালেন, তাদের অভিযোগে সাড়া মেলে না বাফুফের কাছ থেকে।

“আমরা অভিযোগ করলে তারা উত্তর দেয় এখানে এএফসি’র টুর্নামেন্ট হয়। এএফসি এই মাঠকে অ্যাপ্রুভাল দিলে সাফের সমস্যা হওয়ার কথা না।”

“আমি বলেছি এখানের বদলে বসুন্ধরায় ম্যাচ আয়োজন করা যেতে পারে। বসুন্ধরার মাঠ তো ভালো। সেখানে ফ্লাড লাইট না থাকলে দিনে খেলাতে পারে। দিনে খেলাতে তো কোনও সমস্যা নাই। ওখানে তো ড্রেসিংরুমও ভালো আছে।

সিলেটের ভেন্যুতে তো কষ্ট বেশি হয়ে যাবে। এখান থেকে নিয়ে যাওয়া আবার নিয়ে আসা। সেই খরচ কে দেবে? সেই খরচ তারা বহন করলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।”

জাতীয় দলের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথা আগামী জুনে। টুর্নামেন্টের আয়োজক নির্ধারিত হয়নি এখনও। হেলাল জানালেন এ মাসের মাঝামাঝি চূড়ান্ত হতে পারে সবকিছু।

“সিনিয়র সাফের খেলা ২০ জুন থেকে হবে তা নির্ধারিত হয়েছে। তবে ভেন্যু এখনও ঠিক হয়নি। সেটা আমাদের আগামী ১৪ তারিখ ইসি মিটিংয়ে নির্ধারিত হবে। আমরা মার্কেটিং এবং মিডিয়া রাইটসে জন্য টেন্ডার দিয়েছিলাম। সেখানে একটাই টেন্ডার জমা পড়েছে। ইসি মিটিংয়ে এটা পাস হলে ভেন্যু নির্ধারিত হবে।”

“প্রতিষ্ঠানটির শর্ত হচ্ছে এবারের সাফ ভারতে আয়োজন করার। ২৫ সালের আগামী সাফ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলাতে হবে। সবাই যদি এটায় অনুমোদন দেয় তবে ভারতে আয়োজিত হবে। যদি সবাই অনুমোদন না দেয় তাহলে আমাদের বিকল্প ভাবতে হবে।”