শুরুতে বসুন্ধরা কিংসের চোখে চোখ রেখে লড়াই করলেও পরে আর পেরে ওঠেনি ফর্টিস এফসি।
Published : 12 Jan 2024, 06:23 PM
বসুন্ধরা কিংসের এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ চার মিনিট পরই উবে গেল আত্মঘাতী গোল হজম করে। তবে পরে সময় যত গড়াল, একটু একটু করে ম্যাচের লাগাম মুঠোয় নিল শিরোপাধারীরা। টানা তিন জয়ে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে শীর্ষস্থানও পুনরুদ্ধার করল অস্কার ব্রুসনের দল।
কিংস অ্যারেনায় শুক্রবার ফর্টিস এফসিকে ৩-১ গোলে হারায় কিংস। রাকিব হোসেন দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর কাজী তারিক রায়হানের আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে ফর্টিস। পরে দোরিয়েলতন গোমেস নাসিমেন্তো ও রিমন হোসেনের লক্ষ্যভেদে জয় নিশ্চিত হয় কিংসের।
ব্রাদার্স ইউনিয়কে ৫-২ গোলে উড়িয়ে লিগ শুরু করা কিংস দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে জিতেছিল ৪-১ ব্যবধানে। টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিরল তারা।
দিনের আগের ম্যাচে ব্রাদার্সকে হারিয়ে শীর্ষে উঠেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ৭ পয়েন্ট নিয়ে ফের তারা নেমে গেল দ্বিতীয় স্থানে।
নিজেদের মাঠে আক্রমণাত্মক শুরু করে কিংস। আগের ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে আসা ফর্টিসও পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করছিল প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে।
সপ্তম মিনিটে মিগেল দামাশেনোর শট আটকে দেন গোলরক্ষক আজাদ হোসেন। দুই মিনিট পরই দৃষ্টিনন্দন গোলে কিংসকে এগিয়ে নেন রাকিব। বক্সের ভেতরে কোনাকুনি অবস্থানে থেকে এই ফরোয়ার্ড দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে নিখুঁত শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন।
ত্রয়োদশ মিনিটেই কিংসের ওই আত্মঘাতী গোল। আরমান ফয়সাল আকাশের পাস ধরে ওমর বাবৌ বাড়ান ওমর সারের উদ্দেশে। নিখুঁত ফ্লিকে বল বের করে নিয়ে আলতো টোকা দেন এই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ ফেরালেও বল তারিকের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।
পঞ্চদশ মিনিটে ওমর সারের পাস ধরে বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদের চেষ্টা করেছিলেন আকাশ। ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ।
২১তম মিনিটে দামাশেনোর পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নেন দোরিয়েলতন। এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শট প্রথম চেষ্টায় ফর্টিস গোলরক্ষক আজাদ ফেরালেও গ্লাভসে জমাতে পারেননি, ফিরতি শটে লিগে নিজের পঞ্চম গোলটি করেন দোরিয়েলতন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দামাশেনোর শট জালের দিকেই ছুটছিল; গোললাইন থেকে হেডে ক্লিয়ার করেন মোজাম্মেল হোসেন নিরা।
৬৮তম মিনিটে শ্রাবণের দারুণ দৃঢ়তা জয়ের পথে রাখে কিংসে। ওমর বাবৌয়ের শট ফিস্ট করে ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি গোলরক্ষক। এরপর ওমর সারের ফিরতি শট কোনোমতে পা বাড়িয়ে আটকে দেন তিনি।
কিংস ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় ৭৭তম মিনিটে। রবসন দি সিলভা রবিনিয়োর পাসে দামাশেনো ডামি করলে বল পেয়ে যান তার পাশে থাকা রিমন। জোরাল শটে এই ডিফেন্ডার আজাদকে পরাস্ত করলে কিংসের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়।
তিন ম্যাচে এক জয়ে ৩ পয়েন্ট ফর্টিসের।