ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
সামনের পথচলায় জুড বেলিংহ্যামের সঙ্গে বোঝাপড়া আরও ভালো হবে বলে মনে করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড ফিল ফোডেন।
Published : 19 Jun 2024, 07:47 PM
সার্বিয়ার বিপক্ষে কষ্টে জেতা ম্যাচে জুড বেলিংহ্যামের সঙ্গে ফিল ফোডেনের ‘জুটি’ জমেনি তেমন একটা। এ নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে ঢের। তবে ফোডেনের বিশ্বাস, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সামনের পথচলায় এই সতীর্থের সঙ্গে তার জুটি কেবল বিকশিতই হবে।
গত মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগেও দারুণ ছন্দে ছিলেন ফোডেন। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৭ গোল করে লিগের বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাবও জেতেন তিনি।
সার্বিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ১-০ গোলে জেতা ম্যাচে আক্রমণভাগে তিন জনকে রেখে ছক কষেছিলেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। ‘নাম্বার-১০’ পজিশনে খেলেন বেলিংহ্যাম; প্রায় সময় সিটিতে এই পজিশনে খেলা ফোডেনকে চলে যেতে হয় বাম দিকে। ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ভিডিওতে ফোডেন আশাবাদী কণ্ঠে বলেন, তাদের জুটি দ্রুতই জমে উঠবে।
“জুড (বেলিংহ্যাম) অবশ্যই অসাধারণ মেধাবী খেলোয়াড়। সে এখন একজন নেতা, আমি মনে করি, সে নেতায় পরিণত হচ্ছে। আমার মনে হয়, আমাদের লিংক-আপ প্লে মাঝেমধ্যে ভালো হয়েছে এবং এর উন্নতিও হচ্ছে এবং সামনে ভালো থেকে আরও ভালো হবে। সে একজন শিহরণ জাগানিয়া প্রতিভাবান খেলোয়াড় এবং তার সঙ্গে খেলাটা আমি উপভোগ করছি।”
সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ফোডেনের খেলার সমালোচনা করেন ইংল্যান্ডের সাবেক স্ট্রাইকার ইয়ান রাইট। বিবিসি ম্যাচ ব্রডকাস্টে তিনি স্পষ্ট করেই বলেন, ফোডেন ভালো খেলেননি এবং সে ম্যাচের মধ্যে ছিল না।
“লোকে ফোডেনকে নিয়ে এবং তার পজিশন নিয়ে কথা বলে। আমি বুঝতে পারি, সে ফুটবলার হিসেবে কতটা ভালো, কিন্তু সে এই ম্যাচের মধ্যে ছিল না। আমরা সবসময় নিয়মের দোষ দিতে পারি না। তার কাজগুলো নিজেরই করা।”
ফোডেনের প্রশংসায় বরাবরই পঞ্চমুখ সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা তাকে নিজের দেখা ‘সবচেয়ে মেধাবী খেলোয়াড়’ বলেছিলেন। তবে তিন বছর আগের ইউরোতেও শুরুতে ভুগেছিলেন ফোডেন; শুরুর দুই ম্যাচের পর তাকে দলের বাইরে চলে যেতে হয়েছিল।
অবশ্য ২৪ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের ২০২২ বিশ্বকাপের গল্প ছিল অন্যরকম। ইরানের বিপক্ষে তিনি নিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে নামেন ৭১তম মিনিটে বদলি হিসেবে। পরে ওয়েলসের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জেতা ম্যাচে পেয়েছিলেন জালের দেখা। এরপর শেষ ষোলোয় সেনেগালের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জেতা ম্যাচ হ্যারি কেইন ও বুকায়ে সাকার গোলে রেখেছিলেন অবদান।
ফোডেনের মনে হচ্ছে, প্রথম ম্যাচ বলে স্নায়ুর চাপে একটু বেশিই ছিলেন তিনি। সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে তার মূল্যায়ন এমনই।
“আমি মনে করি, বড় আসরে প্রথম ম্যাচ সবসময়ই সবচেয়ে কঠিন। অবশ্যই, আমাদেরকে মাঝে মাঝে ঘর সামলাতে হবে এবং নিচে নেমে খেলতে হবে। কিন্তু আমি মনে করি, ওই ম্যাচ আমাদের ভিন্ন একটা দিকও দেখালো এবং আমরা যদি কোনো কিছু জিততে চাই, তাহলে আমি মনে করি, আমাদের এটাও করতে হবে।”
‘সি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বৃহস্পতিবার ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।