৯০০ গোল পূর্ণ করার পরের ম্যাচে আবার দলকে জেতানো গোল করলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, ১ হাজার গোলের লক্ষ্যের পথে ছুটতে শুরু করলেন তিনি।
Published : 09 Sep 2024, 12:16 PM
লক্ষ্যটা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। তবে সেই অর্জনের পরিধি এত বড় যে, চাওয়াটা কেবল তার একারই নয়। তার ভ্রমণের সঙ্গী সতীর্থরা, গোটা দল ও ফুটবলবিশ্বের অনেকেই। সেই পথে রোনালদোর প্রথম পদক্ষেপের পর যেমন ব্রুনো ফের্নান্দেস বলছেন, যাত্রা শুরু হয়ে গেল।
লক্ষ্যটা এখন সবারই জানা। ৯০০ গোলের মাইলফলক ছোঁয়ার আগেই রোনালদো বলেছেন, ক্যারিয়ারে ১ হাজার গোল করতে চান তিনি।
নেশন্স লিগে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে গোল করে ৯০০ পূরণ হয় তার। এরপর নতুন শুরু পরের ১০০ গোলের পথে। সেখানেও সূচনাটা হয়েছে দারুণ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বদলি নেমে তিনি ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন শেষ দিকে। তার গোলেই ম্যাচ জিতেছে পর্তুগাল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে যেটি তার ১৩২তম গোল আর ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা এখন ৯০১টি।
ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে ফের্নান্দেসের নিজের কাছেও। তার ক্যারিয়ারের ৬০০তম ম্যাচ এটি। তার জন্মদিনও ছিল এ দিন। ৩০ বছর পূর্ণ করা এই ফুটবলারের গোলেই এ দিন সমতা ফেরায় পর্তুগাল।
লিসবনে স্কট ম্যাকটমিনের গোলে সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যায় স্কটল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফের্নান্দেসের গড়ানো শট স্কটিশ গোলকিপারের হাত ছুঁয়ে স্পর্শ করে জাল। পরে ৮৮তম মিনিটে নুনো মেন্দেসের বাড়ানো বলে দ্রুতগতিতে ছুটে এসে বল জালে পাঠান রোনালদো।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এটিই তার প্রথম গোল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি দেশের বিপক্ষে গোল করার রেকর্ডটি তিনি সমৃদ্ধ করলেন আরও। ৪৮ দেশের বিপক্ষে গোলের স্বাদ পেলেন ইতিহাসের সফলতম গোলস্কোরার।
শুরুর একাদশে হোক বা বদলি নেমে, রোনালদো যে সব ভূমিকায় পার্থক্য গড়তে পারেন, সেটিই ম্যাচের পর তুলে ধরলেন ফের্নান্দেস। পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দিলেন ৩৯ বছর বয়সী তারকার লক্ষ্যের কথাও।
“তার প্রভাব সবসময়ই একইরকম, সেটা তিনি বেঞ্চে বসে ম্যাচ শুরু করুন কিংবা নয়। বদলি নামা সবাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে আজকে। ক্রিস্তিয়ানো তো ক্রিস্তিয়ানোই। আজকে আবার গোল করলেন, ৯০১ গোল হয়ে গেল তার এবং হাজারের পথে তার যাত্রা শুরু হলো, যেটা তিনি খুব করে চান”।
ফের্নান্দেস দারুণ খুশি নিজের জন্মদিনে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরেও। স্কটল্যান্ড যে কতটা কঠিন প্রতিপক্ষ, সেটিও শোনালেন তিনি।
“স্কটল্যান্ড কঠিন প্রতিপক্ষ। তাদের প্রায় সব খেলোয়াড় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলে এবং এটিই তাদের মান তুলে ধরে। তারা কঠিন দল, শারীরিকভাবে শক্তিশালী এবং তারা জানে, কীভাবে বল সামলাতে হয়। সেট-পিসে তারা বিপজ্জনক। আমরা জানতাম ম্যাচের আগেই। তবু বাজে সময়ে গোল হজম করে ফেলি। তবে এই ম্যাচে নিজেদের মানসিকতা দেখিয়েছি আমরা, জানতাম কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় এবং জিততে হয়।”
“জাতীয় দলের হয়ে গোল করতে পারা সবসময়ই সন্তুষ্টির। নিজের জন্মদিনে গোল করতে পারা ও পর্তুগালের সঙ্গে উদযাপন করতে পারা তো আরও ভালো।”